দুবাই: ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে খেতাব জিতে নিল অ্যারন ফিঞ্চের দল। রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। 


১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে যে রান তোলাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু সেই কাজটাই যে খুব সহজেই শুরু করেছিলেন ডেভিডও ওয়ার্নার। ফিঞ্চ মাত্র ৫ রানে ফিরে গেলেও, ওয়ার্নার নিজের খোলস খুলে বেরিয়ে আসছিলেন ক্রমাগতই। মাচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়েই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ছিলেন না। আর বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়ার্নার যেন নিজের পুরনো মেজাজে। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ পুরো একপেশে করে দেন। উল্টো দিকে মিচেল মার্শও ছিলেন রণংদেহী মেজাজে। ৫০ বলে অফরাজিত ৭৭ রানের মারকাটির ইনিংস। ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংস। ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর আর কোনও চিন্তা বাড়ান ম্যাক্সওয়েল। বাকি সময়টা মার্শের সঙ্গে ক্রিজে থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সওয়েল (২৮)। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল অজিদের। এবার সেই স্বপ্নপূরণ হল ক্যাঙ্গারু ব্রিগেডের।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নিউজিল্যান্ড শিবিরে এদিন ঢুকে পড়েছিলেন টিম সেইফার্ট। ডেভন কনওয়ের জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন সেইফার্ট। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মার্টিন গাপ্টিল ও ডারিল মিচেল। ইংল্যান্ড ম্য়াচের নায়ক ছিলেন। কিন্তু এদিন রান পেলেন না মিচেল। মাত্র ১১ রান করে ফিরে যান তিনি। জশ হ্যাজেলউড প্রথম আঘাত হানেন অজি শিবিরে। কেন উইলিয়ামসন ক্রিজে আসতেই প্রথমে রানের গতি কমে যায়। গাপ্টিল এদিন নিজের ছায়া হয়েই থেকে গেলেন। ৩৫ বলে ২৮ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। এরপরই গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন কেন। প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল মাত্র ৫৭। কিন্তু সেখান থেকে ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলে ফেলেন। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অর্ধশতরানের ইনিসং। এর আগে ২০০৯ সালে কুমার সঙ্গাকারার ব্যাট থেকে এসেছিল অর্ধশতরানের ইনিংস। ফিলিপস ফিরে গেলেও কেনকে আটকাতে পারেনি অজি বোলাররা। মিচেল স্টার্ককে এক ওভারে ২২ রান দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যখন থামলেন তখন তাঁর নামের পাশে ৪৮ বলে ৮৫ রান। নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান কিউয়ি অধিনায়ক।  লোয়ার অর্ডারে সেইফার্ট ও নিশাম মিলে দলের স্কোর ১৭২-এ পৌঁছে দেন।