দুবাই: দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ একে অপরের মুখোমুখি হলেই ক্রিকেট মাঠে দুরন্ত কিছু মুহূর্ত তৈরি হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন নতুন সব অধ্যায় লেখা হয়েছে দুই দলের দ্বৈরথে।


কিন্তু কোথায় কী? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) অস্ট্রেলিয়াকে একপেশেভাবে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে গ্রুপ এ-র পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলেন অইন মর্গ্য়ানরা।


দলের জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন জস বাটলার। ৩২ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ১২৫ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১.৪ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যে দাপট দেখে বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, ওয়ান ডে চ্যাম্পিয়নদের হাতেই না এবার টি-টোয়েন্টিতেও বিশ্বসেরার ট্রফি ওঠে।


ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের মতোই ঝাঁঝ মালুম হয় এই দুই দেশের লড়াইয়ে। ফি বছর অ্যাশেজ সিরিজে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ে না। শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) মুখোমুখি হয়েছিল সেই অস্ট্রেলিয়া (Australia) ও ইংল্যান্ড (England)। যে ম্যাচে প্রথমার্ধে দাপট দেখালেন ইংরেজ বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১২৫ স্কোরে।


টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দিতেই যেন শুরু থেকে বল হাতে দাপট দেখাতে থাকেন ইংরেজ বোলাররা। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিধ্বংসী ডেভিড ওয়ার্নারকে (১) ফিরিয়ে ধাক্কা দেন ক্রিস ওকস। পরের ওভারেই ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন স্টিভ স্মিথ (১)। রান পাননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (৬)। একটা সময় মাত্র ২১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া।


ব্যাট হাতে লড়াই করলেন একমাত্র অ্যারন ফিঞ্চ। অজি অধিনায়ক করলেন ৪৯ বলে ৪৪ রান। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ১২৫ রানে পৌঁছে দেন প্যাট কামিন্স (৩ বলে ১২ রান) ও মিচেল স্টার্ক (৬ বলে ১৩ রান)।


ক্রিস জর্ডান ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট টাইমাল মিলস ও ক্রিস ওকসের। আদিল রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে এক উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: শামি ভারতকে প্রচুর ম্য়াচ জিতিয়েছে, ধর্ম নিয়ে আক্রমণ নৃশংস, তীব্র নিন্দা কোহলির


জবাবে ব্যাট করতে নেমে দাপট দেখালেন ইংরেজ ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার তিন তারকা পেসার, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজলউড কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি।