আবু ধাবি: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ভারতের। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। ২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০ ওভারে ১৪৪/৭ রানে। ৬৬ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত অর্ধশতরানের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রােহিত শর্মা।
বিশাল রানের লক্ষ্যমাত্রা। রান তাড়া করতে নেমে ঠিক যেমনটা দরকার ছিল, তেমনটা শুরু করতে পারেনি আফগানিস্তান। ২ ওপেনারই দ্রুত ফিরে যান তাঁদের। ফলে চাপে পড়ে যায় প্রথমেই আফগানরা। রাহমুদুল্লাহ গুরবাজ ও গুলবদিন নইব শুরুটা ভাল করলে বড় রান বোর্ডে তুলতে পারেননি। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে মহম্মদ নবি, করিম জন্নত মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। এই ম্যাচে ৯৯ রানের মধ্যে আফগানিস্তানকে অল আউট করতে পারলে ভারত রান রেটের বিচারে আফগানদের ওপরে উঠে আসত। কিন্তু সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন ২ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রানই তুলতে পারে আফগানিস্তান। ৪ বছর পর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ফিরে ৪ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মহম্মদ শামি।
এর আগে এদিন ফের টস হারলেন বিরাট কোহলি। এই নিটে শেষ ৮ ম্যাচে ৭ বারই টস হারলেন তিনি। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। কিন্তু বোলাররা তাঁর সিদ্ধান্তের সম্মান জানাতে পারলেন না। প্রথম ওভারে একমাত্র ৫ রান দিয়েছিলেন নবি নিজে। আর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ১ রান খরচ করেছিলেন আফগান বোলার। এছাড়া পুরো ইনিংসেই দাপট দেখালেন ভারতের ওপেনিং জুটি। রোহিত শুরু থেকেই হাত খোলেন। রাহুল একটু সেট হয়ে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ২ জনে মিলে দ্রুত দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এদিন মুজিব উর রহমানকে খেলায়নি আফগানিস্তান। তাঁর চোট রয়েছে। রশিদ ছিলেন একাদশে। কিন্তু তাঁকেও বেশ নিষ্প্রভ মনে হল এদিন। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ঋদ্ধি চার নম্বরে, ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে ৬ বোলার নিয়ে নামছে বাংলা