আবু ধাবি: বোলাররা রাস্তাটা দেখিয়েই দিয়েছিল। সেই পথে হেঁটেই এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড। ১৫.১ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে নেই আইরিশরা। 


মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড। কঠিন লক্ষ্য একদমই নয়। আর কাজটাও কঠিন হতে দিলেন না আয়াল্যান্ডের ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডসের প্রাপ্তি বলতে প্রতিপক্ষের ৩ উইকেট। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন পল স্টার্লিং ও কেভিন ও ব্রায়েন। দ্বিতীয় জন অল্প রানে ফিরে গেলেও প্রথম জন ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আয়ারল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন গ্যারেথ দেলানি। তিনি ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় আইরিশরা। 


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে এদিন আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক পিটার সিলার। বল হাতে জ্বলে ওথেন এরপর ক্যাম্ফার। শুধু হ্যাটট্রিক করেই থেমে থাকা নয়। ৪টে উইকেট পরপর তুলে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ১৯ তম হ্যাটট্রিক। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাট্ট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি। 


এদিন নেদারল্যান্ডস ইনিংসের দশম ওভারে বল করতে এসেছিলেন ক্যাম্ফার। ওভারের দ্বিতীয় বলে আকারম্যানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর খাতা খোলার আগেই পরপর ২ বলে ফিরে যান রায়ান টেন ডসখাতে ও স্কট এডওয়ার্ডস। টানা ৩ বলে ৩ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কার্টিস ক্যাম্ফার। কিন্তু এর পরের বলেও চলে আসে উইকেট। ভান ডার মারউইকে বোল্ড করে দেন তিনি। এইভাবে নেদারল্যান্ডসের মিডল অর্ডার একাই ভেঙে দেন তিনি। তবে নিজের শেষ ২ ওভারে বল করতে এসে আর কোনও উইকেট তুলতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার। শেষ পর্যন্ত নিজের কোটার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েই বোলিং স্পেন শেষ করেন ক্যাম্ফার। এটা ছিল ক্যাম্ফারের কেরিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর আগে ৪ ম্যাচে ঝুলিতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। বিশ্বকাপের মঞ্চেই একেবারে রেকর্ড গড়ে হ্যাটট্রিকের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হন তিনিই।