শারজা: ভারতকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে রীতিমতো চনমনে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বল হাতে ছন্দে পাক বোলাররা। শারজায় প্রথমে ব্য়াট করে কিউয়ি ইনিংস আটকে গেল ১৩৪/৮ স্কোরে।


ভারতের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মঙ্গলবার ঘাতক হয়ে উঠলেন হ্যারিস রউফ। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। ছন্দে ছিলেন শাহিন শাহও। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে এক উইকেট নিলেন ভারতকে হারানোর নায়ক। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ হাফিজ ও ইমাদ ওয়াসিম।


নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে রান পেয়েছেন ডারিল মিচেল (২৭), ডেভন কনওয়ে (২৭) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২৫)।


এদিকে, পরপর দুই ম্যাচে হেরে বিপাকে গতবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল ক্যারিবিয়ান শিবিরকে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে পরাস্ত হতে হল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।


প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে। মাত্র ৫৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) সর্বকালীন লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ক্রিস গেল-আন্দ্রে রাসেল সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন আপ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ১৪৩/৮ রান।


ব্যাট হাতে ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে টানেন এভিন লুইস। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৩৫ বলে ৫৬ রান করলেন তিনি। লুইসের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর এক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। তিনি ৩৫ বলে খেলে মাত্র ১৬ রান করে আউট হয়ে যান। সিমন্স অনেক বল নষ্ট করার ফলে লুইসের ঝোড়ো ইনিংসের ফায়দা পুরোপুরি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে কায়রন পোলার্ড ২০ বলে ২৬ রান করেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান আউট হয়ে যান তেম্বা বাভুমা। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রিজা হেনড্রিকস (৩০ বলে ৩৯ রান) ও ফান ডার ভাসেন (৫১ বলে ৪৩ রান)। তবে যাবতীয় চাপ কেটে যায় মারক্রামের ব্যাটে। চার নম্বরে নেমে ২৬ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ১০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।