অ্যাডিলেড: একজন টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুরন্ত ছন্দে। অন্যজনের জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।


অ্যাডিলেডে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি জ্বালালেন বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করলেন। দুজনের ঝোড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ১৮৪/৬। ম্যাচ জিততে ১৮৫ রান তুলতে হবে শাকিব আল হাসানদের।


অ্যাডিলেড বরাবরই বিরাটের পয়মন্ত মাঠ। এই মাঠে দারুণ রেকর্ড কোহলির। সেই অ্যাডিলেডে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত রইলেন কোহলি। অন্যদিকে ৩২ বলে ৫০ রান করে সমালোচনার জবাব দিলেন রাহুল। 


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। অ্যাডিলেডে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই টস জিতলে যে কোনও দলই প্রথমে ফিল্ডিং করে নিতে চাইতো। যাতে পরে ব্যাট করলে অঙ্ক কষে রান তাড়া করা যায়। তার ওপর মেঘলা আবহাওয়ায় পেসারদের সুবিধা পাওয়ার কথা। তাই ফিল্ডিং নিতে দুবার ভাবেননি শাকিব।


ভারতের ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা লাগে। একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রোহিত শর্মা। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তবে ইনিংসের হাল ধরে নেন রাহুল ও কোহলি। এই ম্যাচের আগে চলতি বিশ্বকাপে তিন ইনিংসে রাহুলের মোট রান ছিল ২২। যথাক্রমে ৪, ৯ ও ৯ রান করেছিলেন তিনি। তাঁকে বাদ দিয়ে ঋষভ পন্থকে খেলানোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু রাহুলে আস্থা দেখিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রাহুল হাফসেঞ্চুরি করে তার মর্যাদাও দেন।


 




রাহুল ফেরার পর ব্যাটে ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব। যাঁকে অনেকে ভারতীয় দলের গেমচেঞ্জার বলছেন। মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করেন সূর্য। অন্যদিকে হাফসেঞ্চুরি করেন কোহলি। হার্দিক পাণ্ড্য (৫), দীনেশ কার্তিক (৭), অক্ষর পটেল (৭) রান পাননি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৪৭ রানে তিন উইকেট হাসান মাহমুদের।