ধর্মশালা: অস্ট্রেলিয়া শিবির যে ছন্দে ফিরেছে, তা আগের দুটো ম্যাচ দেখলেই বোঝা গিয়েছিল। এদিন নিউজিল্য়ান্ডের (New Zeland) বিরুদ্ধে ম্যাচে অজি ব্যাটিংয়ের বিক্রমলীলা দেখলে সেই কথার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া যাবে। চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে বিশ্বকাপের মঞ্চে শতরান হাঁকালেন ট্রাভিস হেড (Travis Head)। অর্ধশতরান হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। চলতি বিশ্বকাপের ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফের একটা ঝোড়াে ইনিংস খেললেন। শেষ পর্যন্ত ৩৮৮ রান বোর্ডে তুলে নিল অজিরা। কিউয়িদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৮৯ রান।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউয়ি অধিনায়ক টম ল্যাথাম। কেন উইলিয়ামসন এদিনও খেলেননি। ট্রাভিস হেড ফেরায় মিচেল মার্শ নয় ওয়ার্নারের সঙ্গে তিনিই নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু একবারের জন্য়ও মনে হয়নি যে এই বিশ্বকাপে এটি প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি। প্রথম থেকেই দুর্দান্ত মেজাজে ব্যাটিং করা শুরু করেন হেড। ওয়ার্নারও ছিলেন চেনা মেজাজেই। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি ছিল। এদিনও প্রথমে অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনিই। তবে ৬৫ বলে ৮১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শেষ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পার্টটাইম স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। ওয়ার্নার তাঁর বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান অজি বাঁহাতি ওপেনার। ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর হেড নিজের হাত খোলেন। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে ফিলিপসের বলে আউট হন তিনিও। তিনি ১০টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান। মিচেল মার্শ ২টো বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ৩৬ রান করেন। স্মিথ ও লাবুশেন ২ জনের কেউই এদিন শুরুটা ভাল করলেও রান পাননি। দুজনেই ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ম্যাক্সওয়েল গত ম্যাচে যে ফর্মে ছিলেন, এদিনও সেভাবেই ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। তবে ২৪ বলে ৪১ রান করেই থামে তাঁর ইনিংস। পাঁচটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে জস ইংলিশ ও প্যাট কামিন্স মিলে দলের স্কোর সাড়ে তিনশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন। অজি অধিনায়ক মাত্র ১৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। ২টো বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। 


কিউয়ি বোলারদের মধ্যে গ্লেন ফিলিপস ও ট্রেন্ট বোল্ট ২ জনেই তিনটি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন স্য়ান্টনার। ১টি করে উইকেট নেন নিশাম ও হেনরি।