এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তী সিইও নিক হকলি বলেছেন, ‘গত কয়েকমাসে দেশের মাটিতে সিরিজ আয়োজন করতে গিয়ে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণেই আমরা অস্ট্রেলিয়ায় এই সিরিজ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তী সিইও আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা করোনা অতিমারীর অজুহাতে এই সফর বাতিল করিনি। আমরা সফরসূচি পরিবর্তনের বিষয়ে আগ্রহী। ভবিষ্যতে দু’দল সিরিজ খেলবে।’
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এখন পাকিস্তান সফরে গিয়েছে। দু’দলের দু’টি টেস্ট ম্যাচ এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলার কথা। করাচিতে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। কাল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে। এরপর ১১, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিনটি একদিনের ম্যাচ হওয়ার কথা।
ক্রিকেটমহলে খবর, পাকিস্তান সফরের জন্যই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ খেলার বিষয়ে রাজি হয়নি ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। কারণ, করোনা আবহে কোনও দেশে গেলেই ক্রিকেটার সহ দলের প্রত্যেককে ‘বায়ো বাবল’-এ থাকতে হচ্ছে। ক্রিকেটারদের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার কর্তারা। সেই কারণেই তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠাতে রাজি হননি।
এখন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিন নম্বরে অস্ট্রেলিয়া। পেইনদের পার্সেন্টেজ পয়েন্ট ৬৯.২। ৭০ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনরা প্রথম দল হিসেবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ৭১.৭ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে ভারতীয় দল। ৬৮ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে ইংল্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে ঘরের মাঠে এই সিরিজ ২-০ বা ৩-১ ফলে জিততেই হবে বিরাট কোহলিদের। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডেরও ফাইনালে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে জো রুটদের ৩-০, ৪-০ বা ৩-১ ব্যবধানে জিততে হবে।