কলকাতা ও নয়াদিল্লি: মার্চে ব্রিগেডে মোদির সভার প্রস্তুতি বিজেপির। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বিজেপির ‘রথযাত্রা’। বিজেপি সূত্রে খবর, কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন রথযাত্রা’।
বিজেপি সূত্রে খবর, ১ মাস ধরে রথযাত্রার শেষে মোদির সভার প্রস্তাব রয়েছে। পরিবর্তন যাত্রার শেষে মোদির সভার প্রস্তাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে আনার প্রস্তাব রাজ্য বিজেপির।
বিজেপি সূত্রে খবর, মাসখানেকের মধ্যে রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকায় পাঁচটি রথ ঘোরার পর ব্রিগেডে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি জানিয়েছে, এক একটি রথ ২০ থেকে ২৫ দিন ৫০ থেকে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরবে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোন থেকে পাঁচটি রথ বেরোবে। এর মধ্যে প্রথম রথটি বেরোবে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার। সেই রথের উদ্বোধন করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
৯ ফেব্রুয়ারি বীরভূমের তারাপীঠ থেকে দ্বিতীয় এবং ঝাড়গ্রাম থেকে তৃতীয় রথের সূচনা করবেন বিজেপি সভাপতি। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি বিজেপির চতুর্থ রথটি গড়াবে কোচবিহার থেকে। সেই রথের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
বিজেপি সূত্রের খবর, পঞ্চম রথটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে উদ্বোধন হবে। তবে পঞ্চম রথের দিনক্ষণ বা কে উদ্বোধন করবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি!
রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘দুটি রথযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি তিনটি রথযাত্রা নিয়ে আরও আলোচনা চলছে।’
তবে রথযাত্রার অনুমতি মিলবে কিনা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে। গত সোমবার নবান্নের কাছে অনুমতি চেয়েছে বিজেপি।
কিন্তু, বিজেপিকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে শুরু হতে চলা প্রস্তাবিত রথযাত্রার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বিজেপি সূত্রে দাবি, তারা জেলায় জেলায় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইবে।
এই পরিস্থিতিতে, বিজেপির রথযাত্রা বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, বিজেপির রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় অবশ্য কটাক্ষের সুরে বলছেন, দিদি আসলে ভয় পেয়েছেন, তাই রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি রাজ্য।
আগামীকাল এই মামলায় শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।