নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবথেকে সেরা বডিবিল্ডার হিসাবে গণ্য করা হত তাঁকে। তাঁর শারীরিক গঠন দেখে চমকে উঠতেন সকলেই। তবে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে অচিরেই প্রাণ হারালেন ইলিয়া গোলেম ইয়েফিমচাইক (Illia Golem Yefimchyk)। 


রিপোর্ট অনুযায়ী গত সপ্তাহের বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর হার্ট অ্যাটাক হয় ইলিয়ার। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। তারপর আর ফিরে আসেননি। ১১ সেপ্টেম্বর শেষমেশ তাঁর জীবনাবসান ঘটে বলে জানানো হয়েছে। ইলিয়ার হার্ট অ্যাটাকের পর অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষারত তাঁর স্ত্রী তাঁকে তৎকালীন জরুরি চেস্ট কমপ্রেশন দেন বটে। পরে তাঁকে বিমানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বেলারুশের তারকাকে বাঁচানো যায়নি।


ইলিয়ার স্ত্রী অ্যানা জানান, 'আমি এতদিন প্রার্থনা করছিলাম যাতে ইলিয়া সুস্থ হয়ে যায়। সবসময় প্রতিদিন ওর পাশে ছিলাম। আশায় ছিলাম। ওর হার্ট আবার দিন দুয়েকের জন্য কাজ করাও শুরু করেছিল। তবে ডাক্তাররা আমায় জানান যে ওর মস্তিষ্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এই দুঃসময়ে যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন সহমর্মিতা জানাচ্ছেন, তাঁদের সকলকে আমরা তরফে অনেক ধন্যবাদ। এই পৃথিবীতে আমি একা হয়ে যায়নি, এই কথাটা ভেবে ভাল লাগছে এবং এত এত মানুষ আমায় সাহায্য করতে চেয়েছেন, আমার পাশে রয়েছেন।'


ইলিয়া কিন্তু কখনও কোনও ধরনের বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে তাঁর প্রচুর ভক্ত ছিল। তিনি প্রায়শই এমন ভিডিও পোস্ট করতেন যা দেখে সকলে স্তম্ভিত হয়ে যেতেন। আর পাঁচটা সাধারণ মানুয যা করতে পারেন না, তাঁকে সেই অতিমানবীয় কাজকর্ম করতেই দেখা যেত। তাঁকে 'দ্য মিউটান্ট' ডাকনামও দেওয়া হয়।


সিলভেস্টার স্টালোন এবং আর্নল্ড সোয়াজ়িনেকরের ভক্ত ইলিয়া নিজের স্কুলজীবনে ঠিক করে পুশআপও মারতে পারতেন না। তবে নিজের পছন্দের তারকাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি শরীরচর্চা শুরু করেন। তিনি নাকি দিনে সাতবার খাবার খেতেন এবং দিনে ১৬,৫০০ ক্যালোরি খান। ছয় ফুট এক ইঞ্চির ইলিয়ার ওজন ছিল ৩৪০ পাউন্ড। চেক প্রজাতন্ত্র, দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়ে মিশিয়ে থাকতেন তিনি। তবে অচিরেই থামল তাঁর সফর।







আরও পড়ুন: ৯১ বছরে এই প্রথম, নয়ডায় গড়াল না এক বলও, বাতিল আফগানিস্তান-নিউজ়িল্যান্ড টেস্ট