নয়াদিল্লি: সাদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের ক্ষত এখনও যন্ত্রণা দেয় তাঁকে। ফের একবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে মরিয়া চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। ভারতকে টেস্ট ফর্ম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে তবেই যেন ফেলবেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।


কেরিয়ারের একশোতম টেস্ট খেলতে নামবেন পূজারা। নয়াদিল্লিতে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পূজারা বলেছেন, 'নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে যেতে হয়েছিল। ফের একবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে চাই। ভারতকে টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে চাই।'


কীভাবে নিজের মনঃসংযোগ ধরে রাখেন? পূজারা বলেছেন, 'যতদিন নিজের খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাস রয়েছে, শৃঙ্খলা ধরে রাখার ব্যাপার রয়েছে, সাফল্য আসবে। আমি যোগাভ্যাস করি, প্রাণায়ম করি। তাতে মনঃসংযোগ করা যায়। বাইরের কথা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা যায়। ইতিবাচক লেখালিখি হলেও আমি সিরিজ চলাকালীন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকি।'


উঠতি ক্রিকেটারদের কী পরামর্শ দেবেন? 'ওদের বলব, প্রস্তুতি খুব জরুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দারুণ শেখার মঞ্চ। শৃঙ্খলা রাতারাতি শেখা যায় না। পরিশ্রম করতে হবে। শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তাতে ধৈর্য্য বাড়বে। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সাফল্য-ব্যর্থতা দুই আসবে। তবে লেগে থাকলে সফল হবেই,' বলেছেন পূজারা। 


কেরিয়ারের সেরা ইনিংস কোনটা? পূজারা বলছেন, '৭২ রান করেছিলাম অভিষেক ম্যাচে। সেই ম্যাচে রান না করলে হয়তো এত লম্বা আন্তর্জাতিক কেরিয়ার হতো না। এছাড়া ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে ৯২ রানের আমার খুব প্রিয়। বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকায় জো'বার্গে সেকেন্ড ইনিংসে ১৫৫ করেছিলাম। তারপর অ্যাডিলেডে ১২৩ রানের ইনিংস। গাব্বায় ৫৬ রানের ইনিংস। এগুলো সবই প্রিয়।' পূজারা যোগ করেছেন, 'টেস্ট ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেশি ম্যাচ পাওয়া যায় না। ম্যাচ না থাকলে টিভিতে খেলা দেখতে হয়। তবে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছিল। সুযোগ পেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।'


কেরিয়ারের একশোতম টেস্ট খেলার আগে প্রতিপক্ষ হিসাবে কোন দেশকে সবচেয়ে শক্তিশালী বেছে নেবেন? পূজারা বলছেন, 'অস্ট্রেলিয়া ভীষণ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডও খুব চ্যালেঞ্জিং। দল হিসাবে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করলে আমরা সেই পরীক্ষায় বসতে তৎপর থাকি।'


আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোলার? 'ইংল্যান্ডের পরিবেশ-পরিস্থিতিতে জিমি অ্যান্ডারসন। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ডেল স্টেইন ও মর্নি মর্কেলকে খেলেছিলাম। আমার প্রথম বিদেশ সফর ছিল। খুব সমস্যা হয়েছে ওদের খেলতে। রাহুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। অস্ট্রেলিয়ায় প্যাট কামিন্সকে খেলাটাও কঠিন,' বলেছেন পূজারা। যোগ করেছেন, 'ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, লড়াই ছাড়লে চলবে না। মুখে নয়, ব্যাটে কথা বলায় বিশ্বাসী আমি। সাদা বলের ক্রিকেট খেলে উপকৃত হয়েছি। সৌরাষ্ট্র ও সাসেক্সের হয়ে। রিভার্স স্যুইপ থেকে শুরু করে অনেক শট যোগ করেছি।'



আরও পড়ুন: রহিম সাহেবের ডাকার ধরনে ক্ষুব্ধ হন, পরে কিংবদন্তি কোচের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন বলরাম