এদিন নাগপুরে টসে জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে ফর্মে থাকা রোহিত ও বাঁ হাতি ওপেনার শিখর ধবনকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় টাইগাররা। তবে কেএল রাহুল (৫২) ও শ্রেয়স আইয়ারের (৬২) যুগলবন্দি ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শেষে মণীশ পাণ্ডের ২২ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৭৫ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার লিটন দাস ফেরেন ৮ রানে। কোনও রান না করেই ফিরে যেতে হয় সৌম্য সরকারকেও। এই দুই উইকেটে গিয়েছে দীপক চাহারের ঝুলিতে। এরপর মহম্মদ নইম ও মহম্মদ মিঠুন দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একটা সময় এই যুগলবন্দি ১২ ওভারেই বাংলাদেশকে একশো রানের গণ্ডি পার করে দেয়। ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশের তখন দরকার ৬৫ রান, সেটাও ৪৩ বলে। সে সময়ই ব্রেক থ্রু। ১২.৫ ওভারে মিঠুন এবং পরের ওভারের প্রথম বলে মুশফিকুর রহিমকে শূন্য রানে ফিরিয়েই খেলা ঘুরিয়ে দেন চাহার ও শিবম দুবে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই দুই বলই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। যেখানে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচের রাশ চলে আসে ভারতের হাতে এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে আটকে দিয়ে জয় অর্জন করে ভারতয়ী বোলাররাই। হ্যাটট্রিক করেন দীপক চাহার।
মাহমুদ্দুলাহও তাঁদের ব্যাটিং বিপর্যয়কেই হারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। “৫ ওভারে দরকার ছিল ৪৯ রান। আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। ছেলেরা চেষ্টা করেছে ঠিকই, তবে আমরা ফিনিশ করতে পারিনি,” ম্যাচ শেষের পর মন্তব্য মাহমুদ্দুলাহর।
একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১১০ রানে ২ উইকেট। সেখান থেকে ১৪৪ রানেই গোটা দলকে গুটিয়ে দেওয়া, এই পারফরম্যান্সের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দেওয়া ছাড়া আর কিই বা বলতেন রোহিত। তবে মাঝে যখন উইকেট পড়ছিল না, খেলা ক্রমশ হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিল সেই সময়টা বোলারদের মনোবল বাড়িয়েছেন অধিনায়ক। জুগিয়েছেন আত্মবিশ্বাস। যার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তরুণদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সেও খুশি রোহিত।