লর্ডস: দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে রাহুলের শতরান ও রোহিতের অর্ধশতরানের ওপর ভর করে প্রথম চালকের আসনে ছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই পালটা ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড বোলাররা। মাত্র ৮৮ রান বোর্ডে যোগ করতেই বাকি ৭ উইকেট এদিন খুঁইয়ে বসে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১১৯ রান তুলে নিয়েছে ইংল্য়ান্ড।
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৩৬৪ রানে। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ফের ব্যর্থ হলেন রাহানে। মাত্র ১ রান করেই লর্ডসে প্রথম ইনিংসে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ভারতীয় টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক। এদিন খেলার শুরুতে মাত্র ২ রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কে এল রাহুল। ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন ড্রেসিংরুম ফিরেছিলেন। এদিন আর ২ রান যোগ করে ১২৯ রান করে ওলি রবিনসনের বলে সিবলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাহুল। এরপর থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। রাহানে ফেরার পর অবশ্য একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন জাদেজা ও পন্থ। ভারতের বাঁহাতি অলরাউন্ডার ৪০ রানের ইনিংস খেলেন লোয়ার অর্ডারে। পন্থ ৩৭ রান করেন। মূলত ২ জনের ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই ৩৫০ এর গণ্ডি পেরিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বার্নস ও সিবলি মিলে ওপেনিংয়ে এগােচ্ছিলেন ভালই। কিন্তু তখনই আঘাত হানেন মহম্মদ সিরাজ। সিবলিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। যদিও বার্নস ছিলেন এদিন ভালই ছন্দে। সিবলিকে আউট করার পর পরের বলেই হাসিব হামিদকে বোল্ড করে দেন সিরাজ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ মিস করেন সিরাজ। এরপর রুট ও বার্নস মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৯ রানের মাথায় শামির বলে লেগবিফোর হয়ে ফিরে যান বার্নস।
এরপর বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা ক্রিজে কাটিয়ে দেন রুট। দিনের শেষে রুট অপরাজিত রয়েছেন ৪৮ রানে। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন বেয়ারস্টো (৬)।