নয়াদিল্লি: প্লাস্টিকের ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে নিয়ম। একবার ব্যবহারের প্লাস্টিকের সামগ্রীকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করছে সরকার। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে জারি হবে এই নিয়ম।
পরিবেশ বাঁচাতে প্লাস্টিক বর্জনের নতুন নোটিফিকেশন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী দিনে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। কাপ, প্লেট, সিগারেট ও মিষ্টির বাক্সের প্লাস্টিকের ফিল্ম সবকিছুর ওপরই বসতে চলেছে এই বিধিনিষেধ। এইসব সামগ্রীর উৎপাদন, মজুদ, বিতরণ, বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর লাগাম টানতে চলেছে সরকার।এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু হয়েছে কাজ।৩০ সেপ্টেম্বর থেকে প্লাস্টিক ব্যাগের পুরুত্ব (থিকনেস) বাড়তে চলেছে। ৫০ মাইক্রন থেকে বেড়ে পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগের পুরুত্ব হবে ৭৫ মাইক্রন। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এ এই পুরুত্ব আরও বাড়াবে সরকার। সেই ক্ষেত্রে ১২০ মাইক্রনের প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি শুরু হবে। পুরোনো অপেক্ষাকৃত কম মাইক্রনের প্লাস্টিকের ব্যাগ বন্ধ করে দেওয়া হবে বাজারে।
নিষিদ্ধের তালিকায় কী কী সামগ্রী ?
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকছে- প্লাস্টিকের কাঠিযুক্ত কান খোচানি, বেলুনে প্লাস্টিকের লাঠি, সাজানোর থার্মোকল, প্লাস্টিকের পতাকা, লজেন্সে প্লাস্টিকের কাঠি, আইসক্রিমের কাঠি, প্লেট, কাপ, গ্লাস, প্লাস্টিকের ছুরি, স্ট্র, প্লাস্টিকের ট্রে, প্লাস্টিকের আমন্ত্রণপত্র ছাড়াও ১০০ মাইক্রনের কম পুরুত্বের পিভিসি ব্যানারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুলাই ২০২২ সাল থেকে এইসব প্লাস্টিকের সামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পরিবেশবিদদের মতে, কম মাইক্রনের প্লাস্টিক অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ-বান্ধব পরিস্থিতির ক্ষতি করছে। গবেষকরা বলছেন, বহু ক্ষেত্রে কম পুরুত্বরে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক জমিতে মিশতে পারে না। যার জেরে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। কলকাতার মতো শহরে জল জমার অন্যতম কারণ এই পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগ। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, নর্দমায় রাস্তা আটকে দিচ্ছে এই পরিতক্ত প্লাস্টিক। পরে যার জেরে জলযন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে কলকাতাকে।