লখনউ: টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। এক ওভারে পরপর কয়েকটি ছক্কায় ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। অথচ লখনউয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড (Ind vs NZ) টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটে গেল অভিনব এক কাণ্ড। গোটা ম্যাচে দুই দলের কেউ কোনও ওভার বাউন্ডারি মারেননি। ছক্কা-হীন ম্যাচ দেখল লখনউ।
ভারতের মাটিতে টি-২০ ম্যাচ মানে চার-ছক্কার ঝড় উঠবে, বিশেষ করে এখানকার পিচে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে এটাই মনে করা হয়। যদিও রানের ফুলঝুরি দেখার আশায় যাঁরা মাঠে যান অথবা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন, লখনউয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ নিতান্ত হতাশ করবে তাঁদের। কারণ, এক অতি বিরল নজির গড়ে বসেছে লখনউয়ের আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচটি।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে দু'দলের কোনও ব্যাটসম্যান একটিও ছক্কা মারেননি। ভারতের মাটিতে পুরুষদের কোনও আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে এমনটা আগে কখনও হয়নি। ভারতে আয়োজিত পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচে একটিও ছক্কা মারেননি কেউ, এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার এবং ভারত ১৯.৫ ওভার ব্যাট করে। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকুল্যে ১৪টি চার দেখা গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ৬টি এবং ভারতের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি দেখা গিয়েছে। ভারতের মাটিতে ছেলেদের কোনও আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে সব থেকে কম রান-রেট (৫.০২) দেখা যায় এই ম্যাচে। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৬ সালে বিশাখাপত্তনমে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের। সেই ম্যাচের রান-রেট ছিল ৫.২১।
পিচ নিয়ে বিরক্ত গৌতম গম্ভীর। প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য লখনউয়ের পিচ একেবারেই উপযুক্ত ছিল না। খানিকটা একইরকম সুর শোনা গিয়েছে ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যর গলায়।
ম্যাচে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০০ রানের। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১০.৪ ওভারে ৫০/৩ হয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে সতর্ক জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর। তখনই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ওয়াশিংটন। বলা ভাল, সূর্যকুমারের উইকেট বাঁচাতে নিজের উইকেট বিসর্জন দেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার।
৩১ বলে অপরাজিত ২৬ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সূর্যকুমার। যদিও ওয়াশিংটনের রান আউট নিয়ে নিজেকে দোষারোপ করেছেন স্কাই। ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে বলেছেন, 'ওয়াশি (দলে ওয়াশিংটন সুন্দরের ডাকনাম) আউট হওয়ার পরে আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারি। ভুলটা আমার ছিল। আমি দেখিনি বলটা কোথায় গিয়েছে। রান নিতে দৌড়েছিলাম।'