কলকাতা: 'কলকাতা বইমেলা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে', কলকাতা বইমেলার (Kolkata Book Fair) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এদিন বইমেলায় পৌছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে (Sirsendu Mukherjee) সম্মান জানালেন মমতা। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। বইমেলায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ মন্ত্রীকে বাস পরিষেবা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিলেন তিনি। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি না হলেও একটা অন্য সুর পাওয়া গেল তার কথায়। তিনি এদিন বলেন, 'সমালোচনা থেকে রোজ নতুন কিছু শিখি।'
সমালোচনা থেকে রোজ নতুন কিছু শিখি, কেন বললেন মমতা ?
মমতা এদিন বলেন, ' আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ। আমার সবটাই কুৎসার আঙিনায়, অপপ্রচারের আলিঙ্গনে, কোথাও কোথাও, কারও কারও পছন্দ নাও হতে পারে। তবে এরপরেই তিনি বলেন,' যে তোমায় খারাপ বলে বলুক, তুমি খারাপ বলো না। তা সত্ত্বেও এই কাজকর্মের মধ্যে কষ্ট করে করে', বলতে বলতে এরপর থেমে মজা করে বলেন তিনি, 'কষ্ট করে না ফাঁকি দিয়ে দিয়ে, আমার ১২৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আর এইমুহূর্তে আমি এবার নতুন ৬টি বই দিচ্ছি। কিন্তু আমার আরও ৪-৫টি বই প্রসেসে আছে। আগামী বইমেলায় আমি ওগুলি তুলে দেবো।' মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই নিয়ে সম্প্রতি কটাক্ষ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কি সেই অভিযোগই কি উঠে এল ? চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, 'কাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, বুঝতে হবে', ISF ইস্যুতে বলেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক ফিরহাদ
'অখাদ্য বই'
প্রসঙ্গত, নাম না করলেও সম্প্রতি মমতার কবিতার বই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা যায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের থেকে। 'কবিতার প্রথম লাইন এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। এই যদি কবিতার বই হয়, কেউ পড়বে? আমার মনে হয় কেউ পড়বে না', সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের হাল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 'এই অখাদ্য জিনিসগুলো গ্রন্থাগারে রাখবেন না, এটা আজ বলার সময় এসেছে। 'অখাদ্য বই সরবরাহ হয় সরকারি গ্রন্থাগারে, পড়তে চাইবে কোন মনুষ্য সন্তান? এই বই কিনলে, তবেই সাহায্য পাওয়া যায়, না হলে পাওয়া যায় না। এই ধরনের বই সরবরাহ হলে, উইপোকা ছাড়া কারও সুবিধে হবে না। খিদিরপুরে মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে গিয়ে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েক বছর আগে একটি গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
,