দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ২ ম্যাচে হার। পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ম্যাচে হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ব্যাট-বল ২ বিভাগেই প্রতিপক্ষ টেক্কা দিয়েছে বিরাটদের। ব্যাট হাতে নেমে দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। বল হাতেও মাত্র ২ উইকেটই তুলতে পেরেছে টিম ইন্ডিয়া ২ ম্যাচে। ফলে টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠার পথ কঠিন হয়ে গিয়েছে ভারতের। 


এদিকে ম্যাচ হারের পর বিরাট কোহলি স্বীকার করে নিলেন যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারেনি ভারতীয় দল। সাংবাদিক বৈঠকে এসে তিনি বলেন, 'অদ্ভুত লাগছে। আমার মনে হয় না আমরা ভয়ডরহীন ব্যাটিং বা বোলিং করতে পেরেছি। আমাদের হাতে লড়াই করার মতো বড় রানের রসদ ছিল না। তবে আমরা নির্ভীকভাবে মাঠে নামতেই পারিনি। এছাড়াও যখনই আমরা বড় শট খেলার জন্য ঝুঁকি নিয়েছি, তখনই ব্যর্থ হয়েছি।' 


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে সুপার টুয়েলভ ফর্ম্যাটে। যেখানে যোগ্যতা অর্জনকারী ১২টি দলকে ভাগ করা হয়েছে দুই গ্রুপে। অর্থাৎ প্রতি গ্রুপে রয়েছে ৬টি করে দল। দুই গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকা দুটি করে দল সেমিফাইনালে যাবে। ভারত অধিনায়ক বলেন, 'যখন আপনি ভারতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন, আপনার উপর প্রত্যাশার বিপুল চাপ থাকে। সমর্থকদের সঙ্গে খেলােয়াড়দেরও সেই চাপ সামলাতে হয়। সুতরাং, বাড়তি চাপ মাথায় নিয়েই আমাদের খেলতে হয় এবং আমরা বছরের পর বছর ধরে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। ভারতের হয়ে যেই খেলতে নামুক না কেন, তাঁকে এই চাপটা সহ্য করতেই হবে। দল হিসেবে মোকাবিলা করলে একমাত্র তবেই এই চাপ কাটিয়ে ওঠা যায়। এই দু’টি ম্যাচে আমরা যা করতে পারিনি। শুধুমাত্র আপনি ভারতের হয়ে খেলছেন বলে এবং প্রত্যাশার চাপ রয়েছে বলে অন্যভাবে খেলতে শুরু করবেন, এটা হতে পারে না।'


পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতে কোনও উইকেট তুলতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ঝুলিতে ২ উইকেট পুরেছেন বুমরা। যদিও দলের জন্য তা কোনও কাজে আসেনি। মিস্ট্রি স্পিনার হিসেবে দলে ঢোকা বরুণ চক্রবর্তী পুরো ব্যর্থ। শামি, শার্দুলও আশানুরুপ বল করতে পারেননি। 


ভারত রয়েছে গ্রুপ ২-তে। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে রয়েছেন কোহলিরা। ৩ ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আফগানিস্তান। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচের একটিতে জিতে নামিবিয়া রয়েছে চার নম্বরে। ভারতের পিছনে শুধু স্কটল্যান্ড।