নয়াদিল্লি: তীরে এসে তরী ডুবল। বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। কিন্তু হল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরে গেল ভারতীয় দল। ৭ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়া বাহিনী। ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস খেললেন ডেভিড মিলার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ২ জনেই অর্ধশতরান পূরণ করেন। পাঁচ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় প্রোটিয়া শিবির।


রান তাড়া করে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার


দুশোর ওপর রান তাড়া করে জয় এর আগেও হয়েছে। তবে ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে এত রান তাড়া করে জয়! ২১২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রান করে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান টেম্বা বাভুমা। এরপর কুইন্টন ডি কক ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াস মিলে দলের স্কোরবোর্ডে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। প্রিটোরিয়াস নেমেই মারমুখি মেজাজে ব্যাটি শুরু করেছিলেন। চারটি ছক্কা ও ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ২৯ রান করে হর্ষল পটেলের বলে আউট হন। ডি কক ২২ রান করে ফেলেন অক্ষর পটেলের বলে। এরপরও মনে হচ্ছিল যে ভারত এই ম্যাচ হয়ত খুব সহজেই জিতে যাবে। কিন্তু খেলার গতি প্রকৃতি বদলে দেন ২ অভিজ্ঞ মিলার ও ডুসেন। আইপিএলে মিলার যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। ৩১ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের মারকাটারি ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা। অন্যদিকে, ভ্যান ডার ডুসেন ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন ৭টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ১৯. ১ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


ঈশানের অর্ধশতরানে ২১১ বোর্ডে তুলেছিল ভারত


এদিন প্রথমে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ঈশান কিষাণ ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। শুরু থেকেই দু জনে চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৩ রান করে রুতুরাজ ফিরে গেলেও আটকানো যায়নি ঈশান কিষাণকে। এদিন ১১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ। ২৭ বলে ৩৬ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। পন্থ ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২৯ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্য়াট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সহ অধিনায়কের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অল্প সুযোগেই ব্যাট হাতে নিজের জাত চেনালেন গুজরাত টাইটান্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। ২ টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান বোর্ডে তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।