করাচি: পাকিস্তানের (Pakistan News) রাজনীতিক তথা টেলিভিশন সঞ্চালক আমির লিয়াকৎ হুসেনের (Aamir Liaquat Hussain) রহস্য মৃত্যু। বৃহস্পতিবার করাচিতে নিজের বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর মৃত্যুতে রহস্য মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। মৃত্যুকালে আমিরের বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।


পাক রাজনীতিক তথা টেলিভিশন ব্যক্তিত্বের রহস্যমৃত্যু


আমিরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দেশের সাংসদ তথা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার পারভেজ আশরফ। আমিরের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে অধিবেশন স্থগিত করে দেন তিনি। শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিতই থাকবে বলে জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই শারীরিক ভাবে অস্বস্তি বোধ করছিলেন আমির। বুকে ব্যথা অনুভব করছেন বলে জানান। তখনই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু হাসপাতালে যেতে অস্বীকার করেন তিনি। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা তাঁর ঘরের মধ্যে থেকে চিৎকার শুনতে পান আমিরের গৃহ সহায়ক। ভিতর থেকে বন্ধ থাকায়, দরজা ভেঙে ঢোকেন সকলে। তাতে ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় আমিরকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও পড়ুন: Presidential Election 2022 Date: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ জুন


আমিরের মৃত্যুতে আপাতত রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে করাচি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। করাচির খুদাদদ এলাকায় আমিরের বাড়িতে এ দিন তল্লাশি অভিযানও চালায় পুলিশ। বাড়িতে সবকিছু যথাস্থানে ছিল কিনা, দেখা হচ্ছে। সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেন্টেন্ট জানিয়েছেন, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমিরের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।  তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 


আমিরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর


দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রাক্তন সাংসদ আমির, দীর্ঘ সময় ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের সদস্য ছিলেন। পরবর্তী কালে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলে যোগ দেন। পারভেজ মুশারফের আমলে প্রদেশ স্তরের মন্ত্রীও ছিলেন আমির। ২০০২ এবং ২০১৮ সালে দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জায়গা পান। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রাক্তন সাংসদ আমির, দীর্ঘ সময় ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের সদস্য ছিলেন। পরবর্তী কালে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলে যোগ দেন।