সেঞ্চুরিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জয়ের সুবাস ভারতীয় শিবিরে চতুর্থ দিনেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জিততে ৩০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য পূরণ করতে হবে প্রোটিয়া শিবিরকে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩২৭ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল অল আউট হয়ে যায় ১৭৪ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৩০৫ রান।
তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলেছিলেন ভারত। আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা শার্দুল ঠাকুর এদিন প্রথমে ফিরে যান। রাহুল ২৩ রান করে ফিরে যান। এরপর পূজারা ও বিরাট ২ জনের কেউই রান পেলেন না। পূজারা ১৬ রান করে আউট হন। বিরাট ১৮ রান করে আউট হলেন। অনেকটা প্রথম ইনিংসের মতোই ফের খোঁচা মেরে আউট হলেন। কোনও শতরান ছাড়াই ফের একটা বছর শেষ করলেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক।
অজিঙ্ক রাহানে ছন্দে ছিলেন। কিন্তু আচমকা বাউন্সারে ক্যাচ আউট হয়ে ২০ রানে ফিরে যান। শেষ দিকে পন্থ দ্রুত ৩৪ রান করেন। কিন্তু বাদবাকি কেউই আর বড় রান পাননি। শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।
এর আগে, খেলার দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির জেরে ভেস্তে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনের শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে বুমরাহের ডান গোড়ালিতে মোচড়ের জেরে কিছুটা উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই অবস্থায় শামি ভারতীয় দলের পেস ব্যাটন হাতে তুলে নিয়ে সেঞ্চুরিয়নের পিচে আগুন ছোটালেন। মোট পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ টেস্ট উইকেট শিকারের নজিরও গড়ে ফেললেন শামি। এইডেন মার্করাম, কিগান পিটারসন, অর্ধশতরানকারী টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma), ওয়াইডেন মুল্ডার ও কাগিসো রাবাদা (Kagiso Rabada) শামির আগুনে পেসে সাজঘরের পথ ধরেন। জসপ্রীত বুমরাহ চোট পাওয়ার আগে দুটি, শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur) দুটি এবং মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) একটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের দৌড়ে বাটলার, মার্শ, রিজওয়ান