কেপটাউন: প্রথম টেস্টে জিতে ফুরফুরে মেজাজে নেমেছিল গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। টস জিতেছিলেন অধিনায়ক ডিন এলগার। কিন্তু কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতির মাঝেই যে চিন্তার ভাঁজ পড়বে তাঁদের কপালে কে তা জানত। মাত্র ৫৫ রান ঝুলিতে। আর তার মধ্যেই পুরো দল সাজঘরে ফিরে গেল। প্রোটিয়া ব্যাটিং বিভাগের মেরুদণ্ড একাই ভেঙে দিলেন মহম্মদ সিরাজ। ৯-৩-১৫-৬। নিজের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা স্পেল রামধনুর দেশে করে ফেললেন হায়দরাবাদি তরুণ পেসার। যার সুবাদে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ল এলগারের দল। ভারতের বিরুদ্ধে আর কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশ এত কম রানে অল আউট হয়নি কখনও। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২টো করে উইকেট নেন বুমরা ও মুকেশ কুমার। 


তেম্বা বাভুমার বদলে নিজেই অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছেন এলগার। কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলছেন ৩৬ বছরের প্রোটিয়া ওপেনার। অন্যদিকে ভারতীয় দলে এদিন দুটো পরিবর্তন হয়। অশ্বিনের বদলে জাডেজা ও শার্দুলের বদলে মুকেশ কুমার একাদশে সুযোগ পান। এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই ভারতীয় পেসাররা কোনও সুযোগই দেননি প্রোটিয়া ব্যাটারদের ক্রিজে সেট হতে। এইডেন মারক্রাম আগের ম্যাচে যেভাবে সিরাজের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন, এদিনও ঠিক একই ভাবে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন স্লিপে। ডিন এলগারের উইকেট ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য। কারণ আগের ম্যাচে একদিন সেট হয়ে বড় রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি প্রোটিয়া ওপেনার। এদিন অবশ্য ৪ রান করে প্লে ডাউন হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। সিরাজের বলেই আউট হন তিনি। এলগার ফেরার পর কোনও ব্যাটারই সিরাজের সামনে আর দাঁড়াতে পারেননি। যতবার বল করতে এসেছেন ততবার উইকেট নেওয়ার মুহূর্ত তৈরি করেছেন। কিগান পিটারসেনের বদলে এই ম্যাচে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ট্রিস্টান স্টাবসের। কিন্তু ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আগের ম্য়াচে ভাল খেলা টনি জর্জিও ২ রান করেই সিরাজের শিকার হন। ১৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে বেডিংহাম ও ভেরেইনে ২০ রানের পার্টনাশিপ গড়েন। দলের ৩৪ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। লোয়ার অর্ডারে মহারাজ ৩, রাবাডা ৫ ও বার্গার ৪ রান করেন। মধ্যাহ্নভোজের কিছুক্ষণ আগে মুকেশ কুমারকে নিয়ে এসেছিলেন রোহিত। নিজের ২.২ ওভারের স্পেলে কোনও রান খরচ না করে ২ উইকেট তুলে অধিনায়কের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রাখলেন ডানহাতি তরুণ পেসার।