রাঁচি: তিনি স্থানীয় তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকার (Ind vs SA) বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। তিন নম্বরে নেমে ৮৪ বলে ৯৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার। ভারতও ৭ উইকেটে ম্য়াচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল।


ম্যাচ শেষ হতেই দেখা গেল দারুণ এক দৃশ্য। গ্যালারিতে খেলা দেখতে এসেছিলেন ঈশানের প্রতিবেশীরা। ম্যাচ জিতিয়েই তরুণ ক্রিকেটার হাজির হয়ে গেলেন গ্যালারিতে। সেখানে পায়ে হাত দিয়ে গুরুজনদের প্রণাম করলেন ঈশান। ছবিও তুললেন। এক পরিচিত মহিলা তাঁকে বললেন, 'আমি বলেছিলাম না, আমার বাড়ির কাচ অবশ্যই ভেঙো। এবার সেটা হবে।' ঈশান জবাব দেন, 'নিশ্চয়ই।' এক ভক্ত শার্দুল ঠাকুরের জন্য একটি চিরকুটে বার্তা লিখে দেন। সেই চিরকুট তুলে দেন ঈশানের হাতে। ঈশান তা ড্রেসিংরুমে গিয়ে শার্দুলের হাতে তুলে দেন।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়। অনেকেই ঈশানের প্রশংসা করেছেন। মন জিতে নিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার।


সমতা ফেরাল ভারত


দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত ভঙ্গিমায় দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ (IND vs SA 2nd ODI) জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরল ভারতীয় দল। ২৭৯ রান তাড়া করতে নেমে, ২৫ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারতীয় দল। সৌজন্যে মূলত ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর, ঈশান ও শ্রেয়স তৃতীয় উইকেটে ১৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই পার্টনারশিপই ভারতের জয় সুনিশ্চিত করে দেয়। ঈশান মাত্র ৭ রানের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করেন।


শ্রেয়স-ঈশানের পার্টনারশিপ


বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল করেনি ভারতীয় দল। নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েন পার্নেলের বলে আউট হন শিখর ধবন (১৩)। শুভমন গিলকে এই ম্যাচে দারুণ ছন্দে দেখাচ্ছিল। তবে কাগিসো রাবাডার অনবদ্য কট অ্যান্ড বোলে ২৮ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকেও। এরপরেই ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স ও ঈশান। গত ম্যাচে রান পাননি ঈশান। কিন্তু নিজের ঘরের মাঠে বড় রান করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। শ্রেয়স তো দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেনই। ঈশান শুরুর দিকে আক্রমণ করায় শ্রেয়স একটু সামলেই খেলছিলেন।


 




দুইজনে মিলেই বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ভঙ্গিমায় ব্যাট করে রানের গতি বাড়ান। ঈশান অবশ্য অল্পের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করে ৯৩ রানে আউট হন। তবে শ্রেয়স নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। রাবাডার বলে চার মেরে ১০৩ বলে শতরানও পূরণ করেন। সঞ্জু স্যামসনও ভাল ছন্দে ছিলেন। তিনি শ্রেয়সকে সঙ্গ দেন। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে শ্রেয়স এবং সঞ্জুই ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন। সঞ্জু ৩০ রানে ও শ্রেয়স ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি শ্রেয়সের কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরান। ভারত এই ম্যাচ জেতায় নয়া দিল্লিতে শেষ ম্য়াচে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেখুন: