মুম্বই: ওয়ান ডে ফর চিলড্রেন। একদিন শিশুদের জন্য। ভারত-শ্রীলঙ্কা (IND vs SL) ম্যাচকে ঘিরে মহৎ এক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়ল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ইউনিসেফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শিশুদের জন্য় এগিয়ে এল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি (ICC) ও বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)।
গোটা উদ্যোগের প্রচারে নাম লিখিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, 'ক্রিকেটার হওয়ার আগে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে আমিও এক বালক ছিলাম। যার চোখে ছিল স্বপ্ন।'
হার্দিক পাণ্ড্যর মুখও দেখা গিয়েছে প্রচারের ভিডিওতে। বলেছেন, 'ছোটবেলায় আমি সব সময় খেলতে চাইতাম, সব সময় দলে থাকতে চাইতাম।' শ্রেয়স আইয়ার থেকে শুরু করে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড মিলার থেকে শুরু করে মার্ক ডি'উড বা মার্কাস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওযেল, সকলেই জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সাহায্য়ে কীভাবে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ শিশুসন্তানের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা যাবে। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হবে খেলাধুলোর সরঞ্জাম।
ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে রইল সচিনের জন্যও। এই ম্যাচের প্রাক্কালে সচিনের ব্রোঞ্জ মূর্তি বসল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।নিজের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে মূর্তি বসল সচিনের। বুধবারই উন্মোচিত হল সেই মূর্তি। উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক সচিন নিজেই। আহমেদনগরের এক শিল্পী প্রমোদ কাম্বলেকে দিয়ে সচিনের এই মূর্তি বানানো হয়েছে। সেই মূর্তিই উন্মচিত হয়েছে বুধবার। পরিকল্পনা ছিল সচিনের ৫০তম জন্মদিনে মূর্তি উন্মোচন করা হবে। কিন্তু এই বছর ২৪ এপ্রিলের মধ্যে মূর্তিটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই বুধবার সচিনের হাতেই উন্মোচন হল সচিনের মূর্তি।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিন ছাড়াও ওয়াংখেড়েতে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল, প্রাক্তন বোর্ড কর্তা শরদ পওয়ার। সচিনের পরিবারও সঙ্গে ছিল। মাঠে ছিলেন সচিনভক্ত সুধীর কুমার চৌধরি। তাঁকে দেখা যায় ভারতের পতাকা হাতে শঙ্খ বাজাতে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের সময়ও হাজির ছিলেন সচিন। ইউনিসেফের দূত হিসাবে। তাঁকে দেখে ফের গ্যালারি সমবেত কণ্ঠে গর্জন করল, 'স্যাচিন... স্যাচিন...'।
আরও পড়ুন: গল্ফ কার্টের থেকে মাঠে পড়ে মাথায় চোট, ইংল্যান্ড ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন