গৌতম মণ্ডল, মথুরাপুর: বিডিও অফিস চত্বরেই আধপোড়া রয়েছে জামা কাপড়। অথচ সেই বিষয়ে কার্যত অন্ধকারে মথুরাপুর (Matharapur) ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের কোন্দলের (TMC) জেরে ত্রাণ বিলি না করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল।


বিডিও অফিস চত্বরেই পোড়া জামাকাপড়: আধপোড়া অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নতুন জামাকাপড়। ডাঁই হয়ে রয়েছে পোড়া লুঙ্গি, ধুতি ও শাড়ি। এগুলি কি আসলে ত্রাণ সামগ্রী? তা নিয়েই এখন জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। কোম্পানির ঠেক এলাকায়, একেবারে মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস চত্বরেই এভাবে পড়ে রয়েছে আধপোড়া নতুন পোশাক। কিন্তু কোথা থেকে এল এগুলি? BDO অফিস চত্বরে এগুলি জ্বালিয়ে দিল কারা?


বিজেপির অভিযোগ, এই সমস্ত পোশাক আসলে ত্রাণ সামগ্রী। তৃণমূলের কোন্দলের জেরে, তা বিলি না করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য দীনেশ জানার অভিযোগ, “বিরোধী সদস্যরা সরকারি ত্রাণের জন্য আবেদন করলে দেওয়া হয় না। ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূল সদস্যদের কোন্দলের জেরে ত্রাণ সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিওর অগচোরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ত্রাণ সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা। 

আমফান থেকে ইয়াস, একাধিক প্রাকৃতিক দুযোর্গে, বারবার ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এবার সেই জেলাতেই ত্রাণ সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তপ্ত রাজনীতিও। তাঁরই দফতরের চত্বরে পড়েছে আছে আধপোড়া নতুন কাপড়।অথচ এই নিয়ে কার্যত অন্ধকারে মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও।


দিনকয়েক আগে মালদার মানিকচকে এবার ত্রাণের ত্রিপল-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, ভূতনির হাটে সরকারি ছাপ মারা ত্রিপল ৮০০ টাকা জোড়ায় বিক্রি করছেন চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান নাসির শেখের জামাই রেফাল শেখ। সরকারি ত্রাণের ত্রিপল কীভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তার সদুত্তর দিতে পারেননি উপপ্রধানের জামাই। উপপ্রধানের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বিজেপির কটাক্ষ, গরিবের চাল, ত্রাণের ত্রিপল চুরি হচ্ছে। অথচ দুঃস্থ ও ভাঙন-কবলিত এলাকার মানুষ তা পাচ্ছে না, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। অস্বস্তি ঢাকতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে শাসকদল।


আরও পড়ুন: East Midnapore News: গেরুয়ার বদলে রাতারাতি সাদা! এবার রং বিতর্ক পাঁশকুড়ার স্কুলে