গায়ানা: মধুর প্রতিশোধের সুযোগ ভারতীয় দলের সামনে।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের (U 19 World Cup) ফাইনালে গতবার বাংলাদেশের হাতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ফের বাংলাদেশের সামনে ভারত। টাইগারদের হারিয়ে গতবারের হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ মেন ইন ব্লু-র।
চলতি অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স ভারতের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে অল্প রানে আটকে রাখতে সক্ষম হন আশিকুর জামান, রিপন মণ্ডলরা। অপরাজিত অর্ধশতরানের মধ্যে দিয়ে বাকি কাজটা সম্পন্ন করেন মাহফিজুল ইসলাম। ফলে সহজ জয়ে যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার পর টানা দুই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে শেষ আটে জায়গা করল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। উল্লেখ্য শেষবার তাদের বিরুদ্ধে ফাইনাল জিতেই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বিশাল উগান্ডার বিরুদ্ধে ৩২৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় দল। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশাল জয় ছিনিয়ে পরের রাউন্ডে চলে গেল ভারতীয় দল। এই জয় যুব দলের ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুব ভারতীয় দল ২৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। এদিন ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর রাজ ও বাওয়া ও অঙ্গরিশ রঘুবংশী। ২ জনেই সেঞ্চুরি হাঁকান। প্রথম জনের বয়স মাত্র ১৬। কিন্তু এই বয়সেই যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজ বাওয়াও। তিনি ছাপিয়ে যান অঙ্গরিশকে। ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ভেঙ্গে দেন শিখর ধবনের ২০০৪ সালে করা রেকর্ড। মূলত তাঁদের ব্যাটিং বিক্রমেই ভারতের স্কোর চারশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। ২ জনে মিলে বোর্ডে ২০৬ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৪০৫ রান তুলে নেয় ভারত। বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেন নিশান্ত সিন্ধু। এরপর ব্যাট করতে নেমে উগান্ডার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ৭৯ রানে।