সাউদাম্পটন: এবারের বিশ্বকাপে ভারতেই ট্রফির প্রকৃত দাবিদার বললেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক কালিস। দক্ষিণ আফ্রিকাকে গতকাল ভারত হারিয়ে দেওয়ার পর এ কথা বলেছেন কালিস। একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখনই হাল ছেড়ে না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সাউদাম্পটনের মেঘলা আবহাওয়ায় জসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্বাধীন বোলিং আক্রমণের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। রোজ বোলে গতকাল বুমরাহ চার ও যজুবেন্দ্র চাহল চার উইকেট নেন।
এরপর ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার অপরাজিত শতরানে ভর করে ভারত ছয় উইকেট বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এবারের বিশ্বকাপে এই নিয়ে পরপর তিনটি ম্যাচে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা।
কালিস বলেছেন, ভারতীয় দলকে বিশ্বমানের দেখিয়েছে।ওরাই খেতাবের প্রবল দাবিবার। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে ওরা মুখিয়ে ছিল। আমি ভাবছিলাম এটা ওদের পক্ষে কেমন হবে, ওরা কি তরতাজা থাকবে বা মানসিক কাঠিন্য রেখে খেলবে। আমি মনে করি, এর উত্তর আমরা পেয়ে গিয়েছি। ওরা চমত্কার পারফর্ম করেছে।
ভারতের কাছে হারের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের কাছেও হেরে গিয়েছিল। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার কালিস স্বীকার করেছেন, এভাবে পর পর ম্যাচ হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ছয়টি ম্যাচ বাকি রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ম্যাচই এখন কার্যত নকআউট ম্যাচ।
কালিস মনে করছেন, ভারতের বিরুদ্ধে হার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও অভিযোগ থাকতে পারে না। কারণ, সব বিভাগেই পর্যুদস্ত হয়েছে তারা। দলকেই সামগ্রিকভাবে হারের দায়িত্ব নিতে হবে এবং ভুলত্রুটি সংশোধন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর এবারই দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিটের তকমা নিয়ে খেলছে না।
কালিস বলছেন, আগামী দুটি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে হারালে টেবিলটা খুব একটা খারাপ দেখাবে না এবং এতে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা ছন্দ ফিরে পাবে, যা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে একটা বড় ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে।
কালিস আরও বলেছেন, ফাফ ডুপ্লেসিসের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় মুহূর্ত। কিন্তু সবকিছুই অধিনায়কের ঘাড়ে ফেলে দেওয়াটা সমীচীন নয়। প্রত্যেককেই আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে। কারুর দিকে আঙুল তোলাটা ঠিক হবে না। একে অপরের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে ভাল করা যায়, তা স্থির করতে হবে খেলোয়াড়দের।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হারকে প্রকৃত উদ্বেগের কারণ হিসেবে মন্তব্য করেছেন কালিস। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়ারদের দলের কথা বলার আগে নিজেদের সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করে দেখা উচিত। সিনিয়র থেকে নবাগত- এটা একটা যৌথ প্রচেষ্টা। ওদের ইতিবাচক হতে হবে এবং একে অপরকে উত্সাহ যোগাতে হবে।
কালিস বলেছেন, ভারত ও ইংল্যান্ডের কাছে হারটা বিস্ময়কর নয়। কারণ, দুটি দলই এখন সেরা। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারটা চিন্তার বিষয়।