নয়াদিল্লি: পড়াশোনায় ভয়। আর সিলেবাস থেকে বাঁচতে বক্সিং রিংয়ে নেমে পড়া। সেখান থেকেই আর এক স্বপ্নের শুরু। এশীয় বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হরিয়ানার রোহতকের সঞ্জিত কুমার। ফাইনালে যিনি হারিয়েছেন অলিম্পিক্স পদকজয়ীকে!
রিও অলিম্পিক্সের রুপোজয়ীকে হারিয়ে সোনা জিতলেন সঞ্জিত কুমার। সোমবার এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৯১ কেজির ফাইনালে অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী কাজাখস্তানের ভাসিলি লেভিতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন সঞ্জিত। পাঁচবারের এশীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ীর বিরুদ্ধে জেতাটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সঞ্জিত শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রথম দুই রাউন্ডে সঞ্জিতই এগিয়ে ছিলেন। শেষের দিকে ভাসিলি লেভিত ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সঞ্জিতকে আটকাতে পারেননি। ভাসিলিকে কার্যত ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন সঞ্জিত। সেনাবাহিনীতে কর্মরত বক্সার ইন্ডিয়া ওপেনেও সোনা জিতেছিলেন।
জয়ের পর সঞ্জিত বলেছেন, 'এটা আমার কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত। যদিও আমি নিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট। তবু একজন অলিম্পিক্স পদকজয়ীকে হারানোটা বিরাট ব্যাপার।'
সোমবারের জয় সঞ্জিতের কাছে মধুর প্রতিশোধও বটে। ২০১৮ সালে কাজাখস্তানে প্রেসিডেন্টস কাপে এই লেভিতের কাছে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সঞ্জিত। এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁর লড়াইটা সহজ ছিল না কারণ, তাঁর প্রতিপক্ষ এই টুর্নামেন্টে চারটি সোনা-সহ মোট পাঁচ পদক জিতেছেন।
সঞ্জিত বলেছেন, 'দাদাকে দেখে আমার বক্সিংয়ে আসা। সেটা ২০১০ সালের কথা। দাদাই আমার কোচ। আসলে পড়াশোনা থেকে পালাতে চেয়েছিলাম। আমার বাবা-মা চাইত আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করি। তবে আমার মোটেও ভাল লাগত না। তাই বক্সিং রিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত।'
সোমবার ৫২ কেজির ফাইনালে বিতর্কিত বাউটে বিশ্ব এবং অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন উজবেকিস্তানের শাখোবিদিন জোইরভের কাছে ২-৩ হেরে যান গতবারের চ্যাম্পিয়ন অমিত পংহাল। বিতর্কিত স্প্লিট ডিসিশনের কারণেই রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হল অমিতকে। দ্বিতীয় রাউন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত প্রতিবাদও জানিয়েছিল। কিন্তু সেটা খারিজ করে দেওয়া হয়।