চেন্নাই: অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। সীমিত ওভারের সিরিজে সাফল্যের পর টেস্ট সিরিজ চলাকালীন নেট বোলার হিসাবে তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছিল। তখনও পর্যন্ত টেস্টে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের বিরুদ্ধে খেলার কোনও সম্ভাবনা ছিল না তাঁর। তবে টেস্ট সিরিজের মাঝ পথে মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরাদের মতো একের পর এক তারকা পেসারের চোট আচমকাই প্রথম একাদশের দরজাটা খুলে দিয়েছিল টি নটরাজনের সামনে।

তারপরই দেশে ফিরে মস্তক মুণ্ডন করালেন তামিলনাড়ুর পেসার। দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরে গিয়ে চুল কামিয়ে ফেলেন নটরাজন। তারপর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। নটরাজনের সেই ছবি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।



ছবিটি ট্যুইট করে নটরাজন লেখেন, 'ফিলিং ব্লেসড।' অর্থাৎ, নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। এভাবেই তিনি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে ইতিহাস গড়েছেন নটরাজন। তিনিই ভারতের প্রথম ক্রিকেটার যাঁর একটাই সফরে ক্রিকেটের তিন ধরনের ফর্ম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে। ত্রয়োদশ আইপিএলে ভাল পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসাবে অস্ট্রেলিয়া সফরকারী ভারতীয় দলে নেট বোলার হিসাবে সুযোগ পান নটরাজন। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে তাঁকে টি-টোয়েন্টির মূল ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ভাগ্য নটরাজনকে সঙ্গ দেয়। টি-টোয়েন্টির আগেই ওয়ান ডে-তে তাঁর অভিযেক হয়। জাতীয় দলের পেসার নভদীপ সাইনি চোট পেয়ে ওয়ান ডে সিরিজে খেলতে না পারায় সুযোগ দেওয়া হয় নটরাজনকে। মানুকা ওভালে কেরিয়ারের প্রথম ওয়ান ডে খেলতে নেমে ৭০ রানে ২ উইকেট নেন তামিলনাড়ুর সালেমের বাঁহাতি পেসার।

টেস্টেও কয়েকজন পেসার পরপর চোট পাওয়ায় ব্রিসবেনে সুযোগ পান নটরাজন। আর সেই ম্যাচে বল হাতে নজর কেড়ে নেন। মার্নাশ লাবুশেন ও ম্যাথু ওয়েডের উইকেট তুলে নেন নটরাজন। সর্বত্র প্রশংসিত হয় তাঁর বোলিং। নিজের সাফল্যের জন্য দেশে ফিরেই তাই ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি।