ব্রিসবেন: গাব্বায়  (Gabba Test)  রান তাড়া করার কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না ভারতের পক্ষে। কিন্তু ভারতের পক্ষে সবকিছুই হল পরিকল্পনামাফিক। প্রায় অর্ধেক দিন উইকেটের একটা প্রান্ত ধরে রাখলেন চেতেশ্বর পূজারা। আর শেষ পর্বে ঋষভ পন্থের দাপট অস্ট্রেলিয়াকে খাদের কিণারায় ঠেসে দেয়।  তখন অজি বোলারদের করণীয় তেমন কিছুই ছিল না। পিচ কিন্তু পঞ্চম দিনে কিছুটা বিচিত্র আচরণ করেছে। কিন্তু এই পিচেও ভারতের ব্যাটসম্যানরা অজি বোলারদের একেবারেই মাথায় চড়তে দেননি। খারাপ বল পেলে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দিতে কসুর করেননি ব্যাটসম্যানরা। রক্ষণের খোলসে নিজেদের ঢুকিয়ে না দিয়ে এভাবে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন ব্যাটসম্যানরা। শুভমান গিল শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন। তাঁর টাইমিং খুব ভালো হচ্ছিল। কিন্তু টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম শতরানটা গাব্বাস ফেলে এলেন ২১ বছরের এই ব্যাটসম্যান। তাঁর সেঞ্চুরি যখন নিশ্চিত তখনই নাথন লায়নের বলে ৯১ রানে আউট হয়ে গেলেন তিনি।


শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। আর যেভাবে ব্যাটিং করে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিলেন, তা বোধহয় তিনিই পারেন। অপরাজিত থাকলেন ৮৯ রানে। বাউন্ডারি মেরে দলকে সিরিজ জিতে মাঠ ছাড়লেন তিনি। ম্যাচের পর পন্থ বলেছেন, আমার জীবনে এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। দলের সাপোর্ট স্টাফ ও সহ খেলোয়াড়রা যেভাবে সাহায্য করেছে, তাতে আমি খুশি। যখন খেলিনি, তখনই একইভাবে সাহায্য পেয়েছি।

পন্থ বলেছেন, এটা একটা স্বপ্নের সিরিজ। টিম ম্যানেজমেন্ট সব সময় পাশে ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট আমায় বলেছিল, তুমি ম্যাচ উইনার। মাঠে নেমে দলকে জেতানোই তোমার কাজ। আমি রোজই ভাবি যে, আমি ভারতের হয়ে ম্যাচ জিততে চাই। সেই কাজটা আজ করতে পেরেছি। পঞ্চম দিনের পিচ ছিল। বল কিছুটা টার্ন নিচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে, শট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাকে  ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগের ম্যাচেই দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ। এদিন ঋষভ পন্ত ১৩৮ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেললেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯ টি চার ও একটি ছয়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনিই।