কেপ টাউন: সামনে প্রবল পরাক্রমী অস্ট্রেলিয়া। যারা টি-টোয়েন্টি (WT20 WC) বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। শেষ ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একবারই হেরেছে। আর সেটাও সুপার ওভারে। ভারতের কাছে (India vs Australia)।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের লড়াইটা তাই সহজ ছিল না। হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে শুরু থেকে চাপে থাকার কথা ছিল। টিম ইন্ডিয়ার সেই চাপ বাড়িয়ে দেন বেথ মুনি ও মেগ ল্যানিং। দুই অজি তারকার ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতীয় বোলিংকে ছারখার করে দিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১৭২/৪।
তবু পাল্টা লড়াই করে ভারত। ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট চলে যায়। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন জেমাইমা রড্রিগেজ ও হরমনপ্রীত কৌর। ২৪ বলে ৪৩ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেমাইমা। তবে হাল ছাড়েননি হরমনপ্রীত। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন হরমনপ্রীত।
তবে ৩২ বলে যখন ৪০ রান বাকি, তখন রান আউট হয়ে যান হরমনপ্রীত। তারপরই ফিরে যান রিচা ঘোষও (১৭ বলে ১৪ রান)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৭/৮ স্কোরে আটকে গেল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ ভারতের।
সেমিফাইনালের আগে সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন হরমনপ্রীত। তাঁর জ্বরও ছিল। ফাইনালে খেলা নিয়েও ছিল সংশয়। ঠিক যেমন পূজা বস্ত্রকার সেমিফাইনালে মাঠে নামতে পারেননি। তবে হরমনপ্রীত খেলেছেন। শারীরিক অসুস্থতার প্রতিকূলতা জেদ আর সংকল্প দিয়ে জয় করার চেষ্টা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়াকে দেখলেই যেন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। এদিনও লড়াই করলেন। কিন্তু এমনভাবে রান আউট হলেন যে, রিপ্লে দেখলে শিউরে উঠবেন তিনি নিজেও। ওয়ারহ্যামের বলে স্যুইপ করেছিলেন হরমনপ্রীত। এক রান সম্পূর্ণ করে দু'রান নিতে দৌড়ন। কিন্তু বেথ মুনি শরীর ছুড়ে বল আটকে থ্রো করেন। অ্যালিসা হিলি যখন বেল ফেলে দিচ্ছেন, হরমনপ্রীত ক্রিজের বাইরে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাট সামনে এগিয়ে রান সম্পূর্ণ করার চেষ্টাই করেননি তিনি।
সব মিলিয়ে ফের বড় টুর্নামেন্টে মাথা নীচু করেই বিদায় নিতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।