চিয়াং মেই, তাইল্যান্ড: ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস বলছে, ইরাককে কখনও হারাতে পারেনি ব্লু টাইগার্স। এর আগের ৬ বারের সাক্ষাতে পাঁচবার পরাজিত হতে হয়েছে। একবার ড্র হয়েছিল ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডে ৪৯তম কিংস কাপের সেমিফাইনালে ফের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যে ম্যাচে দু-দুবার এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু দুবারই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইরাক। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচ ২-২ ছিল। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের নিয়ম মেনে হয় টাইব্রেকার। সেখানে ৫-৪ গোলে ভারতকে হারিয়ে দিল ইরাক।
ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে রয়েছে ইরাক। তাদের বর্তমান ফিফা ব়্যাঙ্কিং ৭০। যদিও ম্যাচের আগে থেকেই ভারতকে সমীহ করছিলেন ইরাকের কোচ জেসাস কাসাস। তিনি বলেছিলেন, 'ভারত মোটেও সহজ প্রতিপক্ষ নয়। ওদের ম্যাচ দেখেছি। খুব ভাল দল। খুব সংগঠিত ওরা। আক্রমণে অনেক বৈচিত্র। শর্ট বল ও লং বল - দুভাবেই খেলতে পারদর্শী। আমাদের লক্ষ্য টুর্নামেন্ট জিতে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া।'
কেন কাসাস সতর্ক ছিলেন, বোঝা গেল ম্যাচ শুরু হওয়ার পরই। ইরাকের ওপর শুরু থেকে চাপ দিয়ে গেল ভারত। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল করে এগিয়েও যায় ভারত। সাহাল আব্দুল সামাদের থ্রু পাস থেকে গোল করেন নাওরেম মহেশ সিংহ। ১-০ এগিয়ে যায় ভারত।
তবে ২৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইরাক। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান আল হামাদি। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের গোড়াতেই ভুল করে বসেন ইরাকের গোলকিপার। মনবীরের শট ধরতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসেন। ফের এগিয়ে যায় ভারত।
৭৯ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ইরাক। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইরাকের আইমেন ঘাধবান ভারতের দুই ফুটবলারের মাঝে পড়ে যান। পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করে ২-২ করেন আইমেন। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে লাল কার্ড দেখেন ইরাকের জ়িদান ইকবাল। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ হয়।
পেনাল্টি শ্যুট আউটে প্রথম শটই পোস্টে মারেন ব্রেন্ডন। ভারত ও ইরাকের বাকি সকলেই গোল করে দেওয়ায় ৫-৪ গোলে পরাস্ত হতে হয় ভারতকে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আলাকারাজ়ের ম্যাচ দেখতে দর্শকাসনে হাজির ধোনি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন