টি ২- সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৫৮ রান দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর শুরু করেছিলেন শ্রেয়স। এদিন ভারতের ইনিংসের ৪৩ তম ওভারে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তিনি।
২০১৯-এ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে নিয়মিত খেলতে শুরু করেন ২৫ বছরের শ্রেয়স। তারপর থেকে বেশিরভাগ সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন। শ্রেয়সের উপস্থিতি ভারতের মিডল অর্ডারের সমস্যার অনেকটাই সমাধান করেছে। চার নম্বরের এই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পরীক্ষানিরীক্ষা চলেছে ভারতীয় দলে। কিন্তু সুযোগ পেয়ে মুম্বইকর বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এই জায়গায় দলের ভরসা হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
সেডান পার্কে অভিষেককারী ওপেনার ময়াঙ্ক অগ্রবাল আউট হওয়ার পর নবম ওভারে ব্যাট করতে আসেন শ্রেয়স। ব্যাটসম্যান-সহায়ক উইকেটে থিতু হতে কিছুটা সময় নেন শ্রেয়স। তারপর চোখে বলে সড়গড় হয়ে যাওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি।
প্রথমে অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের ইনিংসের ভিত মজবুত করেন। কোহলি ৫১ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর কেএল রাহুল পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসেন। তিনিও রয়েছেন তুখোড় ফর্মে। দুজনের যুগলবন্দী ভারতকে বড় রানের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
এদিনের ঝকঝকে ইনিংসে কয়েকবার জীবনদান পেয়েছেন শ্রেয়স। তাঁর ক্যাচ ফেলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার। শেষপর্য্নত ১০৭ বলে ১০৩ রানে আউট হন শ্রেয়স।
২০১৮-র তে আম্বাতি রায়ডুর পর চার নম্বরে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। একদিনের ক্রিকেটে ৩০ ইনিংস পর চার নম্বরে ভারতের কোনও ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করলেন।
অম্বাতি রায়ডুর আগে ২০১৭-তে যুবরাজ সিংহ, ২০১৬-তে মণীশ পান্ডে ও ২০১১-তে মনোজ তিওয়ারি চার নম্বরে নেমে শতরান করেছেন।