অকল্যান্ড: ইডেন পার্কে চলতি টি ২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে টিম ভারত। সফরের শুরুটা জয় দিয়ে করার পর মেন ইন ব্লু ব্রিগেড আগামীকাল রবিবার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে। আয়োজক দলের নজর এই ম্যাচে জিতে সিরিজে কামব্যাকের দিকে থাকবে। অন্যদিকে, সিরিজ দখলের লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য টিম বিরাট কোহলির।
প্রথম ম্যাচের পর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছিলেন, তিন বিভাগেই উন্নতির প্রয়োজন দলের। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ভালো ব্যাটিং করে। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সামনে তারা ২০৪ রানের জয়ের লক্ষ্য রেখেছিল। কিন্তু স্কোর ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হন বোলাররা।
লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির পার্টনারশিপ ভারতের ইনিংসের মজবুত ভিত গড়ে দেয়। এরপর শ্রেয়স আয়ারের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ভারত এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এক কথায় বলতে গেলে, প্রথম ম্যাচে দুই দলের বোলাররাই মার খেয়েছিলেন। এর কারণ ইডেন পার্কের ছোট বাউন্ডারি। এ কারণে দ্বিতীয় ম্যাচও হাইস্কোরিং হবে বলেই অনুমান। এমনকি, গত ম্যাচের থেকে বেশি রান উঠতে পারে। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা থাকবে বোলারদের সামনে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে। কারণ, শিশির বোলারদের ঝামেলায় ফেলতে পারে। এজন্য দুই দলই বোলিং কম্বিনেশন আরও ভালো রাখার দিকে নজর রাখবে।
কিউই দলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে টিম সাউদি। এছাড়াও রয়েছেন হামিশ বেনেট, ব্লেয়ার টিকনর, মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি। প্রথম ম্যাচে তাঁরা সবাই ব্যর্থ হয়েছিলেন। এখন দেখার পরের ম্যাচে কেন উইলিয়ামসন দলের বোলিং কম্বিনেশনে কোনও বদল ঘটান কিনা।
অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে ভারতের রাহুল, কোহলি ও শ্রেয়স রান পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের হয়ে অধিনায়ক, রস টেলর ও কলিন মুনরো রান পেয়েছিলেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর ও মহম্মদ শামি। ঠাকুর তিন ওভারে দিয়েছিলেন ৪৪ রান। শামির চার ওভারে হয়েথিল ৫৩ রান। ঠাকুর উইকেট পেলেও শামিকেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।
এক্ষেত্রে কোহলি বোলিং কম্বিনেশনে বদল ঘটাতে পারেন এবং তাঁর কাছে নভদীপ সাইনিকে খেলানোর সুযোগ থাকছে। ব্যাটিং অর্ডারে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কার্যত নেই।