সেঞ্চুরিয়ান: সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর তিন ম্যাচের সিরিজে সেঞ্চুরিয়ানে ভারতের কাছে ডু অর ডাই লড়াই। দল নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয় টেস্টে বাউন্সি ও দ্রুত গতির পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ আরও ভালোভাবে সামলানোর লক্ষ্যে নামতে হবে বিরাট কোহলির ভারতকে।
টানা নয়টি টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড এখন সেঞ্চুরিয়নে পরীক্ষার মুখে পড়বে। কেননা, কেপটাউন টেস্ট জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৮-১৯-এ বিদেশের মাটিতে ভারতকে ১২ টি টেস্ট খেলতে হবে। ওই টেস্টগুলির মধ্যে দ্বিতীয় দল সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট। সিরিজে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে যেকোনও মূল্যে এই টেস্টে জিততে হবে ভারতকে।
এই টেস্টে জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০ এগিয়ে সিরিজ জিতে নেবে। তৃতীয় টেস্ট হবে নিয়মরক্ষার। এমনটা হলে যদিও টেস্ট ক্রমতালিকায় ভারতকে প্রথম স্থান হারাতে হবে না। কিন্তু দেশে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়তে হবে কোহলি ব্রিগেডকে।
প্রথম একাদশ বাছাই করতে হবে যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে ভারতীয় দল সুপারস্পোর্টস পার্কে প্রায় চার ঘন্টা অনুশীলন করেছে। অনুশীলন দেখে দল নির্বাচন নিয়ে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। অন্যদিকে, বেশিরভাগ সময়ই নীরব দর্শক ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে।
শেষের দিকে রাহানে ও শিখর ধবনকে সহকারী কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সঙ্গে থ্রোডাউন অনুশীলন করতে দেখা গেল। পেসারদের বলে খেলতে দেখা গেল না দুই ব্যাটসম্যানকে।
লোকেশ রাহুল ও মুরলী বিজয় পাশের নেটে অনুশীলন করেন। তাঁদের পর ব্যাটিং অনুশীলন করেন কোহলি ও রোহিত। এরপর হার্দিক পান্ড্য ও ঋদ্ধিমান সাহা।
এর থেকে অনুমান, ধবনের জায়গায় ওপেন করতে নামবেন রাহুল। ধবন বিদেশের মাটিতে ১৯ টেস্টে গড় ৪৩.৭২ । তাঁর কেরিয়ারের গড় ৪২.৬২। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মতো পেস সহায়ক পরিবেশে তাঁর রেকর্ড খুব একটা উজ্জ্বল নয়। ১১ টেস্টে গড় মাত্র ২৭.৮১।
দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন টেস্টে তাঁর গড় আরও কম, মাত্র ১৮।একটি হাফসেঞ্চুরিও নেই। তাঁর সর্বাধিক স্কোর ২৯। ২০১৩-১৪ সিরিজে তাঁর ব্যাটে এই রান এসেছিল।
অন্যদিকে, টেকনিকের দিক থেকে রাহুল অনেক বেশি সক্ষম ব্যাটসম্যান। রোহিত ও রাহানের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন। এক্ষেত্রে কোহলি বলেছিলেন, চলতি ফর্মের ভিত্তিতেই রোহিতকে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়েছে।
কেপটাউনে প্রথম টেস্টের দুটি ইনিংসে তাঁর রান যথাক্রমে ১১ ও ১০। কিন্তু একটি ম্যাচে ব্যর্থতার জন্য তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্ট ছেঁটে ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না।
বোলিং ডিপার্টমেন্টে হার্দিক পান্ড্যর জায়গা পাকা। বাকি চার বোলার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পিচের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। নিউল্যান্ডের মতো পিচ হলে ভারত স্পিনার অশ্বিনকে বাইরে রেখেই নামতে পারে।
পেস আক্রমণে কোহলি কী ধরনের পরিবর্তন করে তা এখন দেখার। উমেশ কাল নেটে বোলিং করেছেন। ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন।
শরীর খারাপ কাটিয়ে ইশান্তকেও অনুশীলনে ছন্দে দেখা গিয়েছে। দুজনের সবমিলিয়ে ১১৫ টেস্টের অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেস আক্রমণে কোহলি পরিবর্তন না করলে এক টেস্ট খেলা জসপ্রিত বুমরাকেই দেখা যেতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দল বাছাই নিয়ে অবশ্য এতটা জল্পনা নেই। আয়োজক দলের একমাত্র চিন্তা, ডেল স্টেইনের বিকল্প বেছে নেওয়া। তরুণ পেসার লুঙ্গি এনগিডির টেস্ট অভিষেকের সুযোগ মিলতে পারে।