কেপটাউন: দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে চলতি খরায় নিউল্যান্ডের পিচে জলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই পিচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে ভারত। পিচে জল সরবরাহে ঘাটতি আখেরে ভারতের পক্ষে শাপে বর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি অর্থাত্ শুক্রবার শুরু হচ্ছে টেস্ট। কেপটাউন অঞ্চলে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কারণে নিউল্যান্ডের পিচ তৈরির ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে। জলের সরবরাহ কম। তাই গ্রাউন্ডসম্যানরা মাঠে জল ছড়ানোর কাজে সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে উপযুক্ত ফাস্ট ও বাউন্সিপিচ তৈরি করতে চাইছেন, যাতে সিম মুভমেন্ট থাকবে।
কিন্তু পিচ ও আউটফিল্ডে ছড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জল নেই। গ্রাউন্ডসম্যান ইভান ফ্লিন্ট বলেছেন, স্টেডিয়ামে যে জল রয়েছে তা দিয়ে আমরা পিচে দৈনন্দিন জল ছড়ানোর কাজ করতে পারছি। কিন্তু আউটফিল্ডে সপ্তাহে দুবারের বেশি জল ছড়ানো যাচ্ছে না। তাই আউট ফিল্ড শুকনোই থাকবে। ফলে তা আমরা যেমন চাইছি, তেমন সতেজ থাকবে না।
কেপটাউনের বাসিন্দাদের প্রত্যেকদিন ৮৭ লিটারের বেশি জল ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। এরপরও অবশ্য বাউন্সি পিচ তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী ফ্লিন্ট। উইকেটে ঘাস রাখার চেষ্টা হচ্ছে। উইকেট যাতে শক্ত থাকে, তার জন্য রোল করা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে ঘাস যাতে তাজা থাকে সেই ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, শুরুতে পিচ বোলারদের সাহায্য করবে। তবে তা ওয়ান্জারার্স বা সেঞ্চুরিয়নের মতো হবে না।
ফাস্ট বোলারদের পিচ সাহায্য না করলে তা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যেতে পারে। সেইসঙ্গে পিচ শুকনো হলে ভারতীয় স্পিনাররা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।