কলম্বো: টসের পর শিখর ধবন বলছিলেন, 'আমরা স্ট্রিট ফাইটার। যে কোনও চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।'


বাস্তবে দেখা গেল, বেনজির পরিস্থিতির মধ্যেও দুরন্ত লড়াই করল ভারতীয় দল। তবে শেষরক্ষা হল না। কলম্বোর আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা।


শ্রীলঙ্কার সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচে জয়ের জন্য ১৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে ছিলেন শিখর ধবনরা। বুধবার জয় মানে সিরিজও চলে আসত ভারতের ঝুলিতে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হতে দিলেন না শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও স্নায়ুর চাপ সামলে ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।


বুধবার টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এই ম্যাচের আগে করোনার ধাক্কায় এক সময় তো ভারতীয় দল মাঠে নামানো নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একসঙ্গে চার নতুন মুখকে সুযোগ করে দিয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হল রুতুরাজ গায়কোয়াড়, চেতন সাকারিয়া, নীতিশ রানা ও দেবদত্ত পড়িক্কলের।


ধবনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন রুতুরাজ। তবে একমাত্র ধবন ছাড়া ভারতের আর কেউই বলার মতো রান পাননি। তবে ধবনকেও পরিশ্রম করতে হল রান করতে গিয়ে। ৪২ বলে ৪০ রান করলেন এই সিরিজে নেতৃত্বের ভারপ্রাপ্ত ধবন।


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে বেনজির সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় দল। করোনা আক্রান্ত হয়ে শুধু যে ক্রুণাল পাণ্ড্য সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন তাই নয়, বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত পায়নি তাদের গুরুত্বপূর্ণ সাত ক্রিকেটারকে। কারণ, তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত ক্রুণালের সংস্পর্শে এসেছিলেন।




বুধবার হারের পাশাপাশি আরও একটি উদ্বেগ তৈরি হল ভারতীয় শিবিরে। ফিল্ডিং করতে গিয়ে এদিন চোট পেয়েছেন পেসার নবদীপ সাইনি। তাঁর আঘাত গুরুতর হলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রজা খুলে যেতে পারে ঈশান পোড়েলের।