পাল্লেকেলে: ডাম্বুলায় ভারত-শ্রীলঙ্কা একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলেন দু দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু আজ পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বিরাট কোহলি, উপুল থরঙ্গাদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যায়নি। দু দল সূত্রে খবর, সিরিজের বাকি তিনটি ম্যাচেও জাতীয় সঙ্গীত হবে না। কারণটা আর কিছুই নয়, যে কোনও সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া রীতি হয়ে গিয়েছে। তাই আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের এবারের শ্রীলঙ্কা সফরের একমাত্র টি-২০ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ফের দু দলের ক্রিকেটারদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যাবে।


শ্রীলঙ্কা দলের মিডিয়া ম্যানেজার দীনেশ রত্নসিংহম বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি ফর্ম্যাটের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেছি। তাই একদিনের সিরিজের বাকি ম্যাচগুলি শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে না।’

গলে প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দু দলের ক্রিকেটাররা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলেন। কিন্তু কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্ট এবং ক্যান্ডিতে তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়নি।

ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জড়িয়ে আছেন। সরকারিভাবে যিনি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন, সেই আনন্দ সমরাকুন শান্তিনিকেতনের ছাত্র ছিলেন। একটি সূত্রে শোনা যায়, রবীন্দ্রনাথই গোটা গানটি লিখেছিলেন, আনন্দ সুর দেন। অন্য একটি সূত্রে আবার শোনা যায়, রবীন্দ্রনাথ সুর দেন এবং আনন্দ গানটির কথা লেখেন।