মুম্বই: দেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। ৪০ বছর পর IOC-র সেশনের আয়োজন করবে ভারত। ২০২৩ সালে মুম্বইতে IOC অধিবেশনের আয়োজন করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে।


দেশের এই গর্বের মুহূর্ত প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) সদস্য নীতা অম্বানি বলেন, "ভারতের অলিম্পিক আকাঙ্খার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। দেশের জন্য এটি অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।" IOC সেশন মুম্বইয়ে আয়োজন করার জন্য শুরু হয়েছিল বিডিং। যেখানে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ে মুম্বইয়ের পক্ষে। সব মিলিয়ে ৭৫ জন সদস্য ২০২৩ সালে IOC অধিবেশন আয়োজন করার জন্য মুম্বইয়ের নাম সমর্থন করেন।




আইওসি অধিবেশন হল IOC সদস্যদের একটি বার্ষিক সভা। যাতে ১০১ জন ভোটদানকারী সদস্য ও ৪৫ জন সম্মানিত সদস্য থাকেন। এই বার্ষিক সভায় অলিম্পিক চার্টার গ্রহণ বা সংশোধন, আইওসি সদস্য ও পদাধিকারীদের নির্বাচন ও অলিম্পিকের আয়োজক শহরের নির্বাচন সহ গ্লোবাল অলিম্পিক মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।


এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত ১৯৮৩ সালের পর এই মর্যাদাপূর্ণ IOC সভাটির আয়োজন করবে। যা ভারতের তরুণ প্রজন্ম ও অলিম্পিক আন্দোলনের মধ্যে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চলেছে৷ এই গর্বের মুহূর্তে নীতা অম্বানি জানান, ভবিষ্যতে যুব অলিম্পিক গেমস ও অলিম্পিক গেমসের আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতকে সক্ষম করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।



এই বলেই থেমে থাকেননি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) সদস্য। এদিন নীতি অম্বানি বলেন, “অলিম্পিক মুভমেন্ট ৪০ বছরের অপেক্ষার পর ভারতে ফিরে এসেছে! ২০২৩ সালে মুম্বইতে IOC অধিবেশন আয়োজনের সম্মানে ভারতকে দেওয়ার জন্য আমি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। এটি ভারতের অলিম্পিক আকাঙ্খার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে। যা ভারতীয় খেলাধুলার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।"




এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "খেলাধুলা সর্বদা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে আশা ও অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা আজ বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী দেশগুলির মধ্যে একটি। আমি ভারতের যুবকদের জন্য এটা ভেবে উত্তেজিত যে, তারা অলিম্পিকের জাদুর সাক্ষী থাকতে পারবে। আমরা এই পার্টনারশিপকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামী বছরগুলিতে ভারতে অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করাই আমাদের স্বপ্ন!”