ম্যাঞ্চেস্টার: জয় দিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু করল ভারত। কুলদীপ যাদব ও কে এল রাহুলের দাপটে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজের প্রথম খেলায় ভারত হেলায় হারাল ইংরেজদের। আট উইকেটে জয়ী হল ভারত।
প্রথম চায়নাম্যান বোলার হিসেবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব অর্জন করলেন ভারতের কুলদীপ যাদব। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন ওই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। কার্যত একার হাতেই ইংল্যান্ডের ইনিংস স্বল্প রানে বেঁধে ফেলেন তিনি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পাটা উইকেটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে ইংল্যান্ড।এরপর কে এল রাহুলের টি ২০ তে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮.২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ৫৪ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল।
দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত শর্মা (৩০ বলে ৩২ রান)-র সঙ্গে জুটিতে ১২৩ রান যোগ করেন রাহুল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১০ টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা। শেষপর্যন্ত মণীষ পান্ডের চোট ভারতের পক্ষে শাপে বর হল। তাঁর জায়গায় দলে আসেন রাহুল। এররপর ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর থেকে নিজেকে সরিয়ে অধিনায়ক বিরাট কোহলি সুযোগ দেন রাহুলকে। সেই সুযোগ দুরন্তভাবে কাজে লাগান রাহুল। মইন আলির বলে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন কোহলি। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে কুলদীপের স্পিনের জালে বেসামাল হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন কুলদীপ। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তিনি। কেরিয়ারে এটাই তাঁর সেরা বোলিং।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। ফর্মে থাকা ওপেনার জোস বাটলার (৪৫ বলে ৬৯ রান) এবং জেসন রয় (২০ বলে ৩০) মারকাটারি ভঙ্গিতেই খেলতে শুরু করেন। প্রথম পাঁচ ওভারেই দলের রান ৫০ পেরিয়ে যায়। ১২ ওভারে ১ উইকেটে ৯৫ রান ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ১৪ তম ওভারে বল করতে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কুলদীপ। ইংরেজ অধিনায়ক ইয়োন মর্গ্যান (৭), জনি বেয়ারস্টো (০) এবং জো রুট (০)-কে ফিরিয়ে দেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মারতে গিয়ে নয়, কুলদীপের স্পিনের রহস্য বুঝতে না পেরে আউট হন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ১৪ টি ডট বল করেছেন কুলদীপ। এর থেকেই স্পষ্ট ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা তাঁর বলের হদিশ করতে পারেননি।
অ্যালেক্স হেলস ৮ রানে আউট হন।
যজুবেন্দ্র চাহল (৪ ওভারে ৩৪) ও ভূবনেশ্বর কুমার (৪ ওভারে ৪৪) প্রথম ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেননি।কিন্তু সেই খামতি ঢেকে দেন কুলদীপ। সেইসঙ্গে উমেশও দারুণ বোলিং করেছেন। প্রথমে একটু মার খেলেও পরে ছন্দ ফিরে পান উমেশ। ২১ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।