রাজগিরি: টানা সাত ম্য়াচে জয়। গ্রুপ পর্ব থেকে নক আউটের শেষে ফাইনালেও। খেতাবি লড়াইয়ে চিনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে মহিলাদের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারতীয় হকি দল। রাজগির স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই নিয়ে তৃতীয়বার এই খেতাব ঘরে তুললেন ভারতের মেয়েরা। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলও ভারত। দলের জয়ের মুখ্য ভূমিকা নিলেন ফের দীপিকা। তাঁর গোলেই জয় নিশ্চিত করে নেয় ভারতের মহিলা হকি দল।
খেলার তৃতীয় কোয়ার্টারে ৩১ মিনিটের মাথায় গোল করেন দীপিকা। এবারের টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১১ গোল করলেন দীপিকা। এর আগে ২০১৬ ও ২০২৩ সালে উইমেন্স এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জিতেছিল ভারত। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দু দলই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রথম দুটো কোয়ার্টারে চিনের ডিফেন্স লাইন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। যার জন্য ভারতের ফরোয়ার্ড লাইন ওপরে উঠতেই পারছিল না। এরই মধ্যে কিছু দুর্দান্ত সেভও করেন ভারতের তেকাঠির নীচে থাকা বিছু দেবী খরিবাম। ভারত চারটি পেনাল্টি কর্নার দ্রুত পেলেও সেখান থেকে একটিও গোল করতে পারেনি। খেলার ২৩ মিনিটের মাথায় চিনও একটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ডিফেন্স লাইন সজাগ থাকায় গোলমুখ খুলতে পারেনি চিন। খেলার ৪২ মিনিটের মাথায় দীপিকার সামনে সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার। কিন্তু পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করতে পারেননি তিনি।
এর আগে সেমিফাইনালে জাপানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারতীয় মহিলা হকি দল। জাপানকে টানা দুটো ম্য়াচে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করেছিল ভারতীয় মহিলা হকি দল। সেমিতে ২-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল তারা। ভারতের হয়ে দুটো গোল করেন যথাক্রমে নভনীৎ কৌর ও লালরেমশিয়ামি। আজ ফাইনালে চিনের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারতের মেয়েরা। সেই ম্য়াচেও
মাঝমাঠেও বারবার জাপানের প্লেয়াররা নাকানিচোবানি খাচ্ছিলেন। কিন্তু তবুও শেষ মুহূর্তে গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না কেউই। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি কর্নারও পেয়েছিল ভারত। নভনীতের শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। প্রথম তিনটি কোয়ার্টারে এরপর একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলমুখ খুলতে পারেননি ভারতের মহিলা হকি দলের ফরোয়ার্ডরা। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ কোয়ার্টারে ৪৮ মিনিটের মাথায় ভারতের হয়ে প্রথম গোলটি করেন নভনীৎ কৌর। ট্য়াপ করে জাপানের গোলরক্ষকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন নভনীৎ। ম্য়াচ শেষের চার মিনিট আগে আরও একটি গোল পেয়ে যায় ভারত। লালরেমশিয়ামিকে বল পাস দিয়েছিলেন সুনেলিতা। সেখান থেকেই গোল করে দেন লালরেমশিয়ামি।