নয়াদিল্লি: যুবরাজ সিংহ (Yuvraj Singh) বলেছিলেন, ভারতীয় দলের কৃপণতম ক্রিকেটারের নাম আশিস নেহরা (Ashish Nehra) ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সত্যিই কি তাই?


এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে পাল্টা যুবির উদ্দেশে খুনসুটি করেছেন নেহরা। জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার বলেছেন, ‘কথায় আছে না, চোরের মায়ের বড় গলা। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, রাস্তায় পুলিশ জিজ্ঞেস করেছে, কে চুরি করেছে? একজন হাত তুলে বলে দিয়েছে, আমি নই স্যর। যুবিও ঠিক তাই। বেচারা কোহলির নামও জুড়ে দিয়েছে। অথচ নিজে ভীষণ কৃপণ।’


বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গেও এক মজার ঘটনার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নেহরা। প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার জানিয়েছেন, কীভাবে প্র্যাক্টিসে যাওয়ার আগে তাঁর জন্য বরাদ্দ দুধ খেয়ে নিতেন সহবাগ।


নেহরা বলেছেন, ‘আমি থাকতাম দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে। বীরু নজফগড়ে। ও স্কুটার চালিয়ে আমার বাড়িতে আসত প্র্যাক্টিসের আগে। সকাল ৮টা নাগাদ। বেশিরভাগ দিনই আমি তখনও ঘুমোতাম। বীরুকে দেখলেই আমার বাবা বলত, ও ঘুমোচ্ছে। ডেকে দাও। তারপর বীরু গিয়ে আমাকে ডাকত। আমি ঘুম থেকে উঠেই বলতাম, আমাকে মিনিট ১৫ দে। তবে সেটা হয়তো ২০-২৫ মিনিট লেগে যেত।’


আর সেই সময়ই নেহরার ব্রেকফাস্টে ভাগ বসাতেন সহবাগ। নেহরার কথায়, ‘আমার জন্য দুধ গ্লাসে চাপা দিয়ে রাখা থাকত। সেটা বীরুই খেয়ে নিত।’ যোগ করেছেন, ‘বীরু ব্যাটার ছিল। বিশাল এক কিটব্যাগ নিয়ে যেত। আমি বোলার। তাই আমার কিটব্যাগের সাইজও ছোট ছিল। যাওয়ার সময় বীরু স্কুটার চালাত। আর আমি পিছনে কিট ব্যাগ ধরে বসে তার ওপর মাথা রেখে ঘুমোতাম। ফেরার সময় আমি স্কুটার চালাতাম। ও পিছনে বসে আসত।’


মাঠে বল হাতে ব্যাটারদের ত্রাস ছিলেন বাঁহাতি ফাস্টবোলার নেহরা। সৌরভের টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম কাণ্ডারি। ২০০৩ বিশ্বকাপে অসুস্থতা উপেক্ষা করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ৬ উইকেটের স্পেল এখনও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে। খেলা ছাড়ার পরও ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে থাকতে পারেননি। নেহরা এখন আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের কোচ। তাঁর প্রশিক্ষণে আইপিএল অভিষেকেই ট্রফি জিতেছিল হার্দিক পাণ্ড্যর দল।                                           


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial