নয়াদিল্লি: তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের ধারণাটাই বদলে দিয়েছেন। ক্রিকেটারদেরও যে সিক্স প্যাক থাকতে পারে, চূড়ান্ত ফিটনেসে বলিউডের অ্যাকশন হিরোদের সঙ্গেও পাল্লা দেওয়া যায়, দেখিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
জিমে শরীরচর্চার পাশাপাশি কড়া ডায়েট। কোহলির ফিটনেস রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, ‘আমার ব্রেকফাস্ট নির্দিষ্ট রয়েছে। অমলেট খাই। যাতে থাকে তিনটি ডিমের সাদা অংশ ও একটি গোটা ডিম। গোলমরিচ ছড়ানো পালং, চিজ়। সঙ্গে ফল হিসাবে পেঁপে, ড্রাগনফ্রুট পাওয়া গেলে খাই। তরমুজ থাকে। গুড ফ্যাটের জন্য অনেকটা চিজ় খাই। আমি নিজের নাট বাটার সঙ্গে নিয়ে যাই। সঙ্গে গ্লুটেন ফ্রি পাঁউরুটি নিয়ে নিই হোটেল থেকে। পাঁউরুটিতে নাট বাটার লাগিয়ে খাই। সঙ্গে গ্রিন লেমন টি। ৩-৪ কাপ খাই।’
লাঞ্চ ও ডিনারে? একটা সময় গ্রিলড চিকেন ও গ্রিলড ফিশ খেতেন। কোনও সময় যদি ট্রেনার বলতেন ওজন সামান্য বাড়াতে হবে, তখন রেড মিট যোগ করতেন। তা নাহলে খেতেন গ্রিলড চিকেন, গ্রিলড ফিশ। তবে এখন বিরাট ভেগান। এখন খান খুব বেশি করে পালং শাক, সঙ্গে নানারকম আনাজ। 'রাতে সি ফুডও থাকে,’ বলেছেন কোহলি।
দিল্লির ছেলে বিরাট। যাঁদের প্রিয় খাবারই হল বাটার চিকেন ও রুটি। কিন্তু দীর্ঘ ৪-৫ বছর বাটার চিকেন-নানে হাতই দেননি, জানিয়েছেন কোহলি। বলেছেন, ‘একটা সময় কষ্ট হতো। এখন গর্ব হয়।’
জাতীয় দলের কিংবদন্তি ক্রিকেটার যোগ করেছেন, ‘কড়া ডায়েট মানতে হয় সারা বছর।’ তবে একদিনের জন্য যদি মুক্তি পাওয়া যায়, কী খাবেন? কোহলি বলছেন, ‘দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে রামের ছোলে বাটুরে। ১১০ শতাংশ ওটাই খাব। আর সেটাও ওর দোকানে দাঁড়িয়ে। বাড়ি নিয়ে এলে আসতে আসতে ওটা আর বাটুরে থাকবে না, ফাটুরে হয়ে যাবে। গরম গরম বাটুরে, যার পেটটা ফুটো করে দিলে হাওয়া বেরিয়ে যাবে। সঙ্গে একটু পেঁয়াজ, পুদিনার চাটনি ও গাজর-লঙ্কার আচার।’
প্রাক মরশুমে জিমে কাটানো সময় বেড়ে যায়। ২ ঘণ্টা করে এক এক দিনে দুটো সেশন – সব মিলিয়ে দৈনিক চার ঘণ্টার জিম। তবে কোহলি বলছেন, ‘ক্রিকেট মরশুম চলাকালীন দৈনিক দেড় ঘণ্টার জিম।’ যোগ করেছেন, ‘সবটাই নির্ভর করে মেটাবলিজিমের ওপর। হার্দিক পাণ্ড্য বা কে এল রাহুলকে দেখুন। ওরা এমনিতেই স্লিম। আমি এমনই যে, চার বছর ট্রেনিং করার পর চারদিন অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়া করলেও মোটা হয়ে যাব।’