রাণা দাস, কাটোয়া : স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত শরীর। পায়ে লেগেছে মারাত্মক আঘাত। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধ লড়ছে ১২ বছরের খুদে। বাড়ির বাইরে চলছিল রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Political Clash), সেই সময় বাড়ির বাইরে বেরিয়েই মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়ে যায় ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া।
ঠিক ২০ দিনের মাথায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে ফের বোমাবিদ্ধ হয়েছে শৈশব। বোমার আঘাতে মারাত্মক জখম হতে হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। তার একটি পা বাঁচানো যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কেন এই ঘটনা ? ভোটে হেরে বোমাবাজি করেছে তৃণমূল, অভিযোগ সিপিএমের। গত ১৫ জুলাই সালারে বোমা ফেটে জখম হয় ১ বালক ও ১ শিশু। সেই রেশ কাটার আগেই ফের বোমাবিদ্ধ শৈশব (Child)।
আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, সিপিএম করার দায়ে আঘাত নেমে এসেছে তাঁদের বাড়ির বাচ্চার ওপর। তাঁদের দাবি, সালারে ওই এলাকায় জিতেছে সিপিএম। যারপর থেকেই সেখানে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বাড়ির বাইরে বোমাবাজি করছিল তাঁরা। চলছিল রাজনৈতিক সংঘর্ষ। সেই সময় কোনওভাবে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। তাকে দেখে বোমা ছোঁড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, এমনই অভিযোগ তাঁর পরিবারের।
বোমাবিদ্ধ হওয়ার পর শিশুটিকে দ্রুত নিয়ে ছোটা হয় সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে কিছুটা চিকিৎসার পর তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই শিশুটির চিকিৎসা চলছে। শরীরে ঢুকে থাকা একাধিক স্প্লিন্টার বের করা হলেও এখনও শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলেই জানা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেই ফের বোমাবিদ্ধ হয়েছিল শৈশব, হাত উড়ে গিয়েছিল এক স্কুলছাত্রের (School Student)। বসিরহাটে বোমা ফেটে জখম হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল স্কুলছাত্রটিকে। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয় পশ্চিমবঙ্গে। এর আগেও এমন ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল রাজ্য। তবুও আরও একবার নৃশংস অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে। জানা যায়, আহত ছাত্রের নাম ইউসুফ মন্ডল। ঘটনাস্থল ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকা।