কলকাতা: অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই তাঁর। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নির্ধারিত ৯০ মিনিটেই জিতে মাঠ ছাড়তে চান এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। দলের তারকা উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ানেরও সে রকমই ইচ্ছা।
শনিবার ঘরের মাঠে প্লে অফের প্রথম বাধা পার করতে নামছে গতবারের সেমিফাইনালিস্ট এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ প্রথম আইএসএল প্লে অফে ওঠা ওড়িশা এফসি, যারা লিগ টেবলের ছ’নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে। তিন নম্বর দলের বিরুদ্ধে তারা খাতায় কলমে খুব একটা এগিয়ে না থাকলেও আইএসএলে অঘটনের শেষ নেই। তাই প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে তার জন্যও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তার খুঁটিনাটিও ভাবা হয়ে গিয়েছে। তবে ৯০ মিনিটে ম্যাচটা জেতাই আমাদের মূল লক্ষ্য”। নক আউট ম্যাচ হলেও কৌশল বা পরিকল্পনায় কোনও বড়সড় পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী নন ফেরান্দো। বলেন, “নক আউট ম্যাচ হলেও পরিকল্পনা একই থাকবে। ৯০ মিনিটের মধ্যে আমাদের যা করার করতে হবে ঠিকই। তবে সারা মরশুমে আমাদের পরিকল্পনা যে রকম ছিল সে রকমই থাকবে। অযথা অনেক কিছু বদলে কোনও লাভ হবে বলে মনে হয় না। কিছু খুঁটিনাটি ব্যাপারে আরও সড়গড় হতে হবে আমাদের।”
কৌশলে বড় কোনও পরিবর্তন আনতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ফেরান্দো বলেন, “আমরা দলের খেলায় বা কৌশলে বড় কিছু পরিবর্তন আনতে চাই না। কারণ, নিজেদের স্টাইল ও কৌশলের ওপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। এই নিয়েই আমরা নক আউট পর্বেও এগিয়ে যেতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। আরও উন্নতি দরকার ঠিকই। কিন্তু বাকি সব ঠিকই আছে। বদলানোর প্রয়োজন নেই।”
শুরু থেকে আক্রমণ ওঠার পরিকল্পনা নিয়েই যে তাঁর দল নামবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে ফেরান্দো বলেন, “বরাবরের মতো শুরু থেকেই ম্যাচটা যখন আমাদের জিততেই হবে, তখন আক্রমণে ওঠাই উচিত হবে। দুই দলই যেখানে শূন্য থেকে শুরু করবে, সেখানে আমাদের আক্রমণে যেতেই হবে। কারণ, এই ম্যাচ জিতে আমরা সেমিফাইনালে উঠতে চাই।”
চোট না থাকলেও দলের অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার ব্রেন্ডান হ্যামিল পারিবারিক সমস্যার জন্য কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরে গিয়েছেন। শনিবার তিনি খেলতে পারবেন না। ডার্বিতেও তিনি কার্ড সমস্যা থাকায় খেলতে পারেননি। তাঁর জায়গায় যিনি নেমেছিলেন, সেই স্লাভকো দামিয়ানোভিচ সেই ম্যাচে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। শনিবারও সম্ভবত স্লাভকোকেই মাঠে নামাবেন ফেরান্দো। হ্যামিলের দেশে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে কোচ বলেন, “পরিবার আমাদের কাছে সবার আগে। ব্রেন্ডানকে পারিবারিক কারণে ফিরে যেতে হয়েছে সঙ্গত কারণেই। এক্ষেত্রে এই ম্যাচটা গুরুত্বের দিক থেকে তার পরে আসে। ওকে এখন পরিবারের কথা ভাবতেই হবে। কাল পর্যন্ত দেখব, ওর জায়গায় কাকে খেলানো প্রয়োজন। কাল ম্যাচের আগে পর্যন্ত এগারোজনকে বেছে নেওয়ার সময় আমাদের হাতে আছে।”