ফতোরদা: এবারের আইএসএল-এ (Indian Super League) সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) বিরুদ্ধে অ্যাগ্রিগেট বজায় রাখতে হায়দরাবাদ এফসি-কে (Hyderabad FC) সাহায্য করেছিলেন অভিজ্ঞ গোলকিপার লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি (Laxmikant Kattimani)। ফাইনালেও তাঁর বিশ্বস্ত হাত দলকে প্রথমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করল। পিছিয়ে পড়েও নির্ধারিত সময়ের শেষমুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় ছিনিয়ে নিল হায়দরাবাদ। কেরল ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters) ফের আইএসএল ফাইনালে হেরে গেল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে হারল কেরল।


এদিনের ম্যাচে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এরপর ৬৮ মিনিটে প্রথম গোল করে কেরলকে এগিয়ে দেন রাহুল কে পি। এরপর ম্যাচ শেষের দিকে এগোচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, কেরল প্রথমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু ৮৮ মিনিটে সমতা ফেরান সাহিল তাভোরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও আর গোল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তখন বাজিমাত করে হায়দরাবাদ।


টাইব্রেকারে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন হোয়াও ভিক্টর। কেরলের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন মার্কো লেকোভিচ। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে চাপে পড়ে যায় কেরল। হায়দরাবাদের হয়ে টাইব্রেকারে দ্বিতীয় শটে গোল করতে ব্যর্থ হন হেভিয়ের সিভেরিও। সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হারায় কেরল। দ্বিতীয় শটে গোল করতে ব্যর্থ হন নিশু কুমার। এরপর হায়দরাবাদের হয়ে তৃতীয় শটে গোল খাসা কামারা। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ। এরপর অবশ্য কেরলের হয়ে তৃতীয় শটে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন আয়ুষ অধিকারী। এরপর হায়দরাবাদের হয়ে চতুর্থ শটে গোল করেন হোলিচরণ নার্জারি। হার এড়াতে হলে কেরলের হয়ে চতুর্থ শটে গোল করতেই হত জিকসন সিংহকে। কিন্তু তিনি গোল করতে পারেননি। ফলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় হায়দরাবাদ।


এবারের আইএসএল-এর শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে ছিল হায়দরাবাদ। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এটিকে মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে হারায় তারা। ফলে দ্বিতীয় লেগে ০-১ গোলে হেরেও, তারাই ফাইনালে চলে যায়। শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়নও হল হায়দরাবাদই।