ভাস্কো: গত মরসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী চেলসির প্রাক্তন গোলকিপার কোচ লেসলি ক্লিভলির বদলে নতুন গোলকিপার কোচ হিসেবে মিহির সাবন্তকে নিয়োগ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি মরসুম শুরু হওয়ার আগে গোলকিপার কোচ হিসেবে লাল-হলুদে যোগ দেন ক্লিভলি। তিনি প্রথম ১১টি ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন। তিনি কেন সরে গেলেন বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল কি না, সে বিষয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
মিহির এর আগে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলম কেরলে ছিলেন। জামশেদপুর এফসি, চার্চিল ব্রাদার্সেও ছিলেন তিনি। মহমেডান স্পোর্টিং থেকে লাল-হলুদে এলেন তিনি।
লাল-হলুদে যোগ দেওয়ার পর মিহির বলেছেন, ‘এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ক্লাবগুলির অন্যতম। এই ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। ভবিষ্যতে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা গ্রহণ করতে আমি তৈরি। আমাদের দলে কয়োকজন অসাধারণ গোলকিপার আছে। ওদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। দলের যাতে ভাল হয়, সেটাই করার চেষ্টা করব আমি।’
চেলসি ছাড়াও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথমসারির দল টটেনহ্যাম হটস্পার, ফুলহ্যাম, ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো দলগুলিতে ছিলেন ক্লিভলি। তিনি ভ্যান ডের সার, পিটার চেকের মতো বিখ্যাত গোলকিপারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের জাতীয় দলেও ছিলেন তিনি। সেখান থেকে যোগ দেন এসসি ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু মরসুম শেষ হওয়ার আগেই সরে গেলেন তিনি।
ক্লিভলির মতো নামী কোচ থাকা সত্ত্বেও এবার অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভম সেনদের পারফরম্যান্স খুব একটা ভাল নয়। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অরিন্দমের পারফরম্যান্স একেবারেই ভাল ছিল না। সেই ম্যাচে তিনি তিন গোল হজম করেন। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে শুভম আবার ৬ গোল হজম করেন। মিহির আসার পর লাল-হলুদের গোলকিপারদের পারফরম্যান্সের উন্নতি কতটা হয়, সেটাই এখন দেখার।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ বুধবার। প্রতিপক্ষ গোয়া এফসি। প্রথম লেগে গোয়ার কাছে ৩-৪ গোলে হেরে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।