নয়াদিল্লি: বলের গতির জন্য বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। তাঁর বলে বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান চোট পান। এ বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় দলের টেল-এন্ডাররা তাঁকে বলতেন, স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মায়ের কথা ভেবে তাঁদের আঘাত করার বদলে আউট করে দিতে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী অফ-স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন আবার বলতেন মন্থর গতিতে বল করতে, যাতে তিনি নিজেই উইকেট ছুড়ে দিতে পারেন!


শোয়েব আরও বলেছেন, ‘আমি যখন উরসেস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলাম, তখন অনেক খেলোয়াড়ই আমার বলে চোট পেয়েছিল। সেই সময় আমার মনে হত, হে ঈশ্বর! আমি ভুল করে ফেলেছি। কিন্তু আমি অতটা নীচ মানসিকতার ছিলাম কেন জানি না। একবার আমার বলে চোয়ালে মারাত্মক আঘাত পায় গ্ল্যামারগনের ব্যাটসম্যান ম্যাথু মেনার্ড। আমি ওকে বলেছিলাম, আলো কমে আসছে। আমার বল খেলা ওর পক্ষে ঠিক হবে না। কিন্তু ও বলে, আমার বলে ব্যাটিং করবে। আমি রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে যাই। দ্রুতগতিতে বাউন্সার দিই। তখন আকাশ একটু কালো করে এসেছিল। বল ওর চোয়ালে লাগে। ও সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের উপর লুটিয়ে পড়ে। ওর প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল। আমার মনে হয়, ওর মৃত্যু হতে পারে। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি। আউট হয়ে ও মাঠের বাইরে চলে যায়।’

পাকিস্তানের এই প্রাক্তন পেসার জানিয়েছেন, ‘যখনই আমার বলে কোনও ব্যাটসম্যান আঘাত পেত, তখনই খারাপ লাগত। আমার মনে হত, এটা করা উচিত হয়নি। একবার আমার বলে চোখের নীচে আঘাত পেয়েছিল গ্যারি কার্স্টেন। আমি ওকে সতর্ক করে দিয়ে বলি, ও যেন আমার বলে হুক না করতে যায়। ওর আঘাত গুরুতর ছিল। এখনও আমার সঙ্গে দেখা হলেই ও চোখের নীচে কাটা দাগ দেখায়।’

শোয়েবের দাবি, ‘একবার আমি মুরলীকে দু’টি বাউন্সার দিয়েছিলাম। ও আমাকে বলে, আর বাউন্সার দিলে ও মরে যাবে। সে কথা শুনে আমি লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু (মহম্মদ) ইউসুফ আমাকে বলে, ও মুরলীর বল খেলতে পারে না। তাই আমি যেন মুরলীর আঙুল ভেঙে দিই।’