নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এবার চার বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia)। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি অর্থাৎ নাডা (NADA) তাঁকে নির্বাসিত করেছে। জাতীয় দলের ট্রায়ালে মূত্রের নমুনা দিতে নারাজ ছিলেন পুনিয়া। সেই নির্দেশ অমান্য করার শাস্তিই এবার পেতে হল পুনিয়াকে। চলতি বছর ২৩ এপ্রিল ২০২৪ থেকেই তাঁর চার বছরের নির্বাসনের শাস্তি শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক কুস্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিংয়ের তরফেও পুনিয়াকে নির্বাসিত ঘোষণা করা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, গত মে মাস নাগাদ NADA-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে অ্যাপিল করেছিলেন বজরং। যার পর সাময়িকভাবে তাঁর ওপর থেক নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়েছিল। ৩১ মে থেকে ২১ জুন ২০২৪ পর্যন্ত নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়েছিল বজরংয়ের ওপর থেকে। তাই এই সময়কাল চার বছরের মধ্যে ধরা হবে না। নাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চার বছর সময়কালে বজরং দেশের ও বিদেশের কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। এমনকী কোচিংয়েও নামতে পারবেন না।


বজরং জানিয়েছিলেন যে নাডার পরীক্ষার ওপর তাঁর ভরসা নেই। তার জন্যই নাকি তিনি মূত্রের নমুনা দেননি। এমনকী তিনি এমনটাও জানিয়েছিলেন যে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে তিনি সক্রিয়ভাবে ছিলেন। এছাড়া কংগ্রেসেও যোগ দিয়েছেন। যার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাঁর সঙ্গে এমনটা করা হয়েছে। আইনি লড়াই লড়েও শেষ পর্যন্ত অবশ্য নির্বাসনের খাঁড়া থেকে বাঁচতে পারলেন না বজরং।