সন্দীপ সরকার, ভুবনেশ্বর: রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে তাঁর আরও একটা পরিচিতি রয়েছে। তিনি ক্রীড়াপ্রেমী। এতটাই যে, রাজনীতিকদের কাছে দৃষ্টান্ত হতে পারেন। একটি গোটা দেশের পুরুষ ও মহিলা হকি দলের স্পনসর হিসাবে যুক্ত হচ্ছে একটি রাজ্যের সরকার, এরকম অকল্পনীয় কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর উদ্যোগেই।
তিনি নবীন পট্টনায়েক (Odisha CM Naveen Patnaik)। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার যিনি ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ভারত বনাম মঙ্গোলিয়া ম্যাচ দেখলেন। এবং ঘোষণা করে দিলেন, ওড়িশাকে ভারতীয় ফুটবলের হাব গড়ে তুলবেন।
একটা সময় ভারতীয় ফুটবল বললেই যে দুই শহরের নাম সকলের মুখে মুখে ফিরত, সেগুলি হল কলকাতা ও গোয়া। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান স্পোর্টিং থেকে শুরু করে ডেম্পো বা সালগাওকর - ভারতীয় ফুটবলে রাজত্ব করেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার বারতও পেত মূলত এই দুই শহরও। যদিও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ আয়োজনের বরাত পেয়েছে ভুবনেশ্বর। এর আগে যে শহরে অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বা অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। তবে এই প্রথম সিনিয়র দলের কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হচ্ছে মন্দির শহরে (Temple City)।
ভারত-মঙ্গোলিয়া (India vs Mongolia) ম্যাচের আগে দুই দেশের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন পট্টনায়েক। জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলান। তারপর বলেন, 'ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে আর একবার আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসর বসছে দেখে খুব ভাল লাগছে। এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ভারতের ফুটবল হাব হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে ওড়িশা বদ্ধপরিকর। আমি আশাবাদী যে, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক দলগুলি মাঠ ও পরিকাঠামো দেখে খুশি হবে। ওড়িশার ফুটবলপ্রেমীরা দারুণ একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট দেখতে পাবেন। ওড়িশার ফুটবলাররাও চোখের সামনে নিজেদের আদর্শ তারকাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হবেন। শিখবেন।'
তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। ওড়িশায় ফুটবলের উন্নয়নে তাঁকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে (Inter Continental Cup) মঙ্গোলিয়াকে ২-০ গোলে দুরমুশ করেছে ভারত। জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন: সুনীলদের খেলা দেখার জন্য 'অভিশপ্ত উপত্যকা' পেরিয়ে বালিগঞ্জ থেকে ভুবনেশ্বরে