হায়দরাবাদ: বাবা অটো চালাতেন। টাকাপয়সার অভাব কখনও বুঝতেই দেননি। ক্রিকেট স্পাইক দরকার হলে বাবা সেরা জিনিসটাই কিনে এনে দিতেন। অর্থাভাব তাঁর বা তাঁর দাদার ওপর কখনও পড়তেই দেননি বাবা। তাই আইপিএলে খেলে যে টাকা পাবেন, তা দিয়ে বাবা মহম্মদ ঘাউস ও মা শাবানা বেগমকে হায়দরাবাদের একটা ভালো এলাকায় একটা বাড়িতে কিনে দিতে চান মহম্মদ সিরাজ। দশম আইপিএলের নিলামে তাঁকে ২.৬ কোটি টাকায় কিনেছে হায়দরাবাদ সানরাইজার্স। ওই নিলামের পর তাঁর প্রথমেই মনে হয়েছে, মা-বাবাকে একটা ভালো বাড়ি কিনে দেওয়ার কথা।


প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের জোরে ভারত এ এবং অবশিষ্ট ভারতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছিলেন এই পেস বোলার। অন্য পাঁচটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মতো সিরাজের খেলা শুরু টেনিস বলেই। নিজেই নিজের কোচ। তাঁর কথায় আমার বলে পেস ছিল, কিন্তু টেনিস বল ক্রিকেটে ব্লকহোলসে বল করটাই প্রথমে শিখতে হয়।

পরে হায়দরাবাদের অনূর্দ্ধ-২২ দলে সুযোগ পান সিরাজ। এরপর মু্স্তাক আলি, বিজয় হজারে ও রঞ্জি ট্রফিতে খেলার সুযোগ। সেই সূত্রেই ভারত এ দলের দরজা খুলে যাওয়া।

এবার আইপিএলে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের ড্রেসিংরুমে ভিভিভিএস লক্ষ্মণ ও ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেতে চলেছেন, ভেবেই রোমাঞ্চিত সিরাজ।

এরকম একটা দিনে তাঁর মনে পড়ছে, ক্রিকেট খেলে প্রথম রোজগারের কথা। সেটা ছিল একটা ক্লাব ম্যাচ। ওই ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন সিরাজের মামা। ২৫ ওভারের ম্যাচে ২০ রানে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন সিরাজ। খুশিতে মামা ৫০০ টাকা উপহার দিয়েছিলেন। সেই সিরাজেরই দর উঠেছে ২.৬ কোটি। উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সিরাজ। তাঁর কেরিয়ারে বাবা-মার অবদানের কথা জানিয়েছেন সিরাজ। তিনি বলেছেন, তাঁকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য  বাবা-মাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে।